নির্বাচন

নির্বাচন পেছানো ও এমপিদের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : পৌর নির্বাচনের তফসিল অন্তত ১৫ দিন পেছানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে লিখিত দাবি জানিয়েছে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি। সেই সঙ্গে স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে সংসদ সদস্যদের প্রচারের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দলটি।

 

রোববার দুপুর ২টায় ১৫ দফা দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এম ওসমান ফারুকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল । প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান।

 

ওসমান ফারুক বলেন, নির্বাচন কমিশন তাড়াহুড়ো করে পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এ কারণে অনেক পেপার ওয়ার্ক সম্পন্ন না করেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমরা নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছি।

 

তিনি বলেন, নির্বাচন পেছানোর প্রসঙ্গে সিইসি বারবার আইনি বাধ্যবাধকতার কথা বলছেন। আমরা বলেছি, মানুষের প্রয়োজনে আইন। প্রয়োজনে হলে আইন পরিবর্তন করে  নির্বাচন ১৫ দিন পিছিয়ে দেবেন।

 

আইনের বেড়াজালে ইসি আটকে থাকলে কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ দিন নির্বাচন পেছানো কমিশনের সদিচ্ছার ব্যাপার। আইনের বেড়াজালে আটকে থেকে জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

 

প্রার্থীদের পক্ষে মন্ত্রী-এমপি ও সরকারি সুবিধাভোগীদের প্রচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কমিশনকে অনুরোধ করেছি, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখার জন্য মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রচার ও প্রভাব না খাটাতে পারে, সেদিকে কঠোর দৃষ্টি রাখতে।

 

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের প্রচারের সুযোগ দেওয়ার দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বুঝলাম না, জাতীয় পার্টি কীভাবে এ ধরনের আবদার করে।আওয়ামী লীগের এ ধরনের দাবি স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় পার্টির দাবি শুনে আমি তো অবাক।মন্ত্রী-এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার দাবিটা একটা রাস্তার মানুষও সাপোর্ট করবে না। এই দাবি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

 

তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসিকে অবস্থান সুদৃঢ় করতে হবে। এর বাইরে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে শুধু ইসি নয়, সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হবে। ইসি সরকারের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে।

 

ইতিমধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে, অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকছে না।দলের মহাসচিবকে মুক্তি না দিলে, নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দিলে, আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এভাবে ধরপাকড় হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তাদের মুক্তি দিয়ে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

 

নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসের ব্যাপারে তিনি বলেন, সিইসি খুব মনোযোগ দিয়ে আমাদের কথা শুনেছেন।আশ্বস্তও করেছেন। এ ব্যাপারে পরে আলোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

নির্বাচন কমিশন তাদের দাবি না মানলে দলীয় পর্যায়ে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে নেওয়া হবে বলে জানান ড. ওসমান ফারুক।

 

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, এস এম আব্দুল হালীম, ক্যাপ্টেন সুজা উদ্দিন।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ নভেম্বর ২০১৫/মিথুন/রফিক