নির্বাচন

আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি : বাবুল আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়ার দীর্ঘ সময় পর তিনি বাসায় ফিরেছেন। বাবুল আক্তার জানিয়েছেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

 

শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তিনি রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে মেরাদিয়ার বাসা যান। বিষয়টি বাবুল আক্তার নিজেই মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন।

 

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বলেন, ‘আমাকে কেউ গ্রেপ্তার করেনি। যেহেতু মামলার বাদী আমি, তাই এই মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য আমাকে ডাকা হয়। পরে আমি যা জানি, তাই তদন্ত সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আমাকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে?’

 

এদিকে ডিবি কার্যালয় হতে শ্বশুরের বনশ্রীর বাসায় বাসায় ফেরার পর সে বাসার নিরাপত্তা ব্যাপক জোরদার করেছে পুলিশ। খিলগাঁও থানার এসআই শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সার্বিক নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত আছেন।

 

গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে  দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পর দিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, বাবুল আক্তার যেহেতু মামলার বাদী, তাই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানার জন্যই তাকে ডাকা হয়েছিল। এ ছাড়া অন্য কিছু না। প্রয়োজনে তাকে আবার ডাকা হতে পারে।

 

শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বাবুলকে তার শ্বশুর বাড়ি খিলগাঁও মেরাদিয়ার বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চট্টগ্রামের দুইজন এএসপি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান এবং পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার নিজে উপস্থিত থেকে তথ্য জানার চেষ্টা করেন। তবে বাবুল আক্তার কী তথ্য দিয়েছেন তা কেউ বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

 

বাবুল আক্তারকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সকাল থেকে জানতে চাইলে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাঁকে কেন নেওয়া হয়েছে, কোথায় নেওয়া হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কি না— এসব প্রশ্নে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চুপ থাকেন। এর মধ্যে একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্ত্রী মাহমুদা খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

নানা গুঞ্জনের পর ঘটনার বিষয়ে দুপুরের দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বক্তব্য পাওয়া যায়। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, আমরা এখনো কনফিডেন্ট যে আমরা তাদের ধরতে সক্ষম হয়েছি। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পরে আপনাদের খোলাসা করে বলতে পারব।’

 

বাবুল আক্তার সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাবুল আক্তার পুলিশের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সবাইকে চেনেন, সবাইকে জানেন। যেসব অপরাধীকে আমরা শনাক্ত করেছি, ধরেছি এবং তাদের জবানবন্দি পেয়েছি তাদের কনফার্ম করতেই বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর বেশি কিছু নয়।’

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুন ২০১৬/মাকসুদ/বকুল