নির্বাচন

অবশেষে মারা গেল রিশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর কাকরাইলে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে আহত স্কুলছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৪) মারা গেছে।

 

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঢামেক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সে কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

 

এদিকে, রিশার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। রিশার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তারা কাকরাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে ও যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে কাকরাইল ও আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

 

গত ২৪ আগস্ট বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের নিচে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে পাওয়া যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পেটের বাঁ পাশে ছুরির আঘাতে নাড়ি বের হয়ে যায় তার। ঘটনার পরদিন রিশার মা বাদী হয়ে ওবায়দুল নামের এক যুবককে একমাত্র আসামি করে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

এর আগে রিশার মা তানিয়া হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, ওবায়দুল একটি টেইলার্সের কর্মচারী। সে রিশাকে উত্ত্যক্ত করত। এ ঘটনার সঙ্গে সেই জড়িত।

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছয় মাস আগে মায়ের (তানিয়া হোসেন) সঙ্গে ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সে বৈশাখী টেইলার্সে যায় রিশা। সেখানে একটি ড্রেস সেলাই করতে দেয়। দোকানের রিসিটে বাসার ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়। রিসিট থেকে মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে ওবায়দুল ফোনে রিশাকে বিরক্ত করত। স্কুলে যাতায়াত করার সময় রিশাকে উত্ত্যক্ত করত।  

 

 সুরাইয়া আক্তার রিশার বাবার নাম রমজান আলী। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। পুরান ঢাকায় সিদ্দিক বাজারে ১০৪ নম্বর বাড়িতে তারা থাকেন।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ আগস্ট ২০১৬/আহমদ নূর/ইভা/এএন/শাহনেওয়াজ