ডেস্ক রিপোর্টঢাকা, ৫ এপ্রিল : ১৯৬৭ সালের পর থেকে ভারতের রাজনীতিতে প্রদেশভিত্তিক অাধিপত্য লক্ষ করা যায়। ধীরে ধীরে এ প্রভাব সর্বভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তাকে সংকোচিত করতে থাকে।
বর্তমানে ভারতের সাধারণ নির্বাচনে কোনো দলের পক্ষে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া খুবই কঠিন। প্রদেশভিত্তিক স্বার্থগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটছে রাজনীতিতে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল, নয়াদিল্লিতে তেমন কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির উত্থান প্রায় একই ধাঁচের ঘটনা।
এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে যেমন মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি তেমনি তামিল নাড়–তে জয়ললিতার অল ইন্ডিয়া আনা ড্রাভিডা মুনেত্রা কাজহাগাম খুবই প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল। এ ছাড়া আরো কিছু রাজ্যের স্থানীয় রাজনীতি কেন্দ্রের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিশ্চিত করতে জোটবদ্ধ হওয়া এক ধরনের অলেখা নীতি হয়ে গেছে।
ভারতের কোনো কোনো জেলার আয়তন যেমন বড় তেমনি জনসংখ্যাও অধিক। ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রদেশভিত্তিক রাজনীতির চেয়ে এর আসনের দিকেই বড় দলগুলোর কৌশলী নজর রয়েছে।
দেখে নেওয়া যাক ভারতের কোন রাজ্যে কতগুলো আসন-রাজ্যের নাম আসন সংখ্যা উত্তর প্রদেশ ৮০ মহারাষ্ট্র ৪৮পশ্চিমবঙ্গ ৪২বিহার ৪০তামিলনাড়ু ৩৯মধ্যপ্রদেশ ২৯কর্নাটক ২৮গুজরাট ২৬রাজস্থান ২৫উড়িষ্যা ২১কেরেলা ২০আসাম ১৪ঝাড়খন্ড ১৪পাঞ্জাব ১৩ছত্তিশগড় ১১হরিয়ানা ১০জম্মু ও কাশ্মির ৬উত্তরাখন্ড ৫হিমাচল প্রদেশ ৪অরুণাচল প্রদেশ ২ গোয়া ২মনিপুর ২মেঘালয় ২ত্রিপুরা ২মিজোরাম ১নাগাল্যান্ড ১সিকিম ১ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল
দিল্লি ৭আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জ ১চন্ডিগড় ১দাদরা ও নগর হাবেলি ১দামান ও দিউ ১লাক্ষাদ্বীপ ১পন্ডিচেরি ১মোট ৫৪৩টি আসনতথ্যসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
রাইজিংবিডি/রাসেল পারভেজ