ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন

ওয়ালটন ফ্রিজে স্ত্রীর সব স্বপ্ন পূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : অধিকাংশ গৃহিনীর স্বপ্ন- তার ঘরে থাকবে বড় ফ্রিজ, টিভি, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্য। মো. এশরাক আলীর স্ত্রীর স্বপ্নও ছিল তাই। তবে একসঙ্গে স্ত্রীর সব স্বপ্ন পূরণ সম্ভব ছিল না। এশরাক আলী ভেবেছিলেন, আপাতত বড় সাইজের একটি ফ্রিজ কিনবেন। পরে না হয় স্ত্রীর অন্যান্য চাওয়া পূরণ করা যাবে। কিন্তু কী ভাগ্য তার! সেই ফ্রিজেই স্ত্রীর সব স্বপ্ন পূরণ হলো। চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়াদের একজন এশরাক আলী। গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর কুড়িল ওয়ালটন প্লাজা থেকে ২৩ হাজার ৪৬০ টাকা দিয়ে ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পান এশরাক আলী। মো. এশরাক আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া সদর থানায়। প্রায় ১৮ বছর ধরে ঢাকায় আছেন। বাবা বেঁচে নেই। মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে নিয়ে তার পরিবার। বর্তমানে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাস করছেন। কাজ করছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে। মো. এশরাক আলী বলেন, ‘স্ত্রীদের অনেক দাবি থাকে। আমার স্ত্রীও ব্যতিক্রম নন। ওয়াশিং মেশিন ছাড়াও তার আরো একটি দাবি ছিল। সেটি বড় সাইজের একটি ফ্রিজের। তার দাবি পূরণ করার ইচ্ছাও ছিল আমার। টাকার অভাবে দেরি হচ্ছিল। তবে ওয়ালটনের কল্যাণে আমার স্ত্রীর সব আশা একসঙ্গে পূরণ করতে পেরেছি। ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাসায় ইলেট্রনিক্স পণ্য বলতে যা বোঝায় তার প্রায় সবই আছে। ঘরে দুটা ফ্রিজ। একটির বয়স ২৭ বছর। অন্যটি নতুন হলেও সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে ছোট ফ্রিজ চলে না। তাই একটি বড় ফ্রিজের খুবই দরকার ছিল। একই সঙ্গে স্ত্রীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল একটি ওয়াশিং মেশিনের। কিন্তু সবগুলো একসঙ্গে কেনা সম্ভব ছিল না। তাই প্রথমে একটি ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ এশরাক আলী জানান, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে কুড়িল ওয়ালটন প্লাজায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চলছে। সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকার পণ্য কিনলে ২০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ আছে। এশরাক আলী বলেন, ‘আমি এমনিতেই কোনো পুরস্কারের আশা করি না। কারণ, আমার জীবনে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেইনি। স্ত্রীর দাবি ছিল বড় ফ্রিজের। কিন্তু টাকা কম থাকায় সবাই মিলে যাচাই-বাছাই করে সাড়ে ১৫ সিএফটির ফ্রিজটি পছন্দ করি। যেটার দাম ছিল ২৩ হাজার ৪৬০ টাকা। মেমো করার সময় আমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন ওয়ালটন কর্মকর্তারা। এর কয়েক মিনিট পর আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তখন এমনিতে রাত। তার ওপর চশমা সঙ্গে ছিল না। এ কারণে মেসেজটি নিজে পড়তে পারিনি। ওয়ালটন কর্মকর্তরাই আমার মোবাইল নিয়ে মেসেজটি পড়েন। মেসেজ দেখে তারা বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আমি ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। প্রথমে ভাবলাম, তারা ঠাট্টা করছেন। পরে নিশ্চিত হলাম যে আমি আসলেই একজন ভাগ্যবান। তখন আমিসহ আমার স্ত্রী ও মেয়েরা খুবই উৎফুল্ল হয়ে উঠি। তাদের খুশির সীমা থাকে না। কারণ, আমরা বড় ফ্রিজ কেনার জন্য এলেও টাকা কম থাকায় মাঝারি সাইজের ফ্রিজ কিনি। কিন্তু লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় এখন বড় ফ্রিজ কেনা যাবে। সেইসঙ্গে স্ত্রীর ওয়াশিং মেশিনের স্বপ্নও পূরণ হবে। এতে আমার স্ত্রী সবচেয়ে বেশি খুশি হন।’ তিনি জানান, ১ লাখ টাকার এ ভাউচার দিয়ে ২৮ সিএফটির একটি বড় ফ্রিজ এবং একটি ওয়াশিং মেশিন কেনেন। এ দুটি পণ্যের দাম পড়ে ৭৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা দিয়ে মেয়েদের জন্য একটি মোবাইল ফোনসহ স্ত্রীর পছন্দের আরো কিছু গৃহাস্থালী পণ্য কেনেন। ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন পণ্য আমরা আগে থেকে ব্যবহার না করলেও আমার অফিসের এসি ওয়ালটনের। কলিগদের অনেকের বাসায় ওয়ালটনের পণ্য আছে। তাদের কাছে শুনেছি, ওয়ালটন পণ্যের মান অনেক ভালো। তাছাড়া আমি নিজে যাচাই করে দেখেছি, দামের দিক থেকে অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী। ফ্রিজের কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। আছে রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা। আছে পর্যাপ্ত সার্ভিস সেন্টার। সব মিলে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’ ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন পণ্যের মান ভালো। দামেও সাশ্রয়ী। তবে আমার পরামর্শ- সার্ভিসিংয়ের বিষয়টিতে যেন তারা আরো গুরুত্ব দেন। আমি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তারা মানুষের সেবা করছেন। ওয়ালটন একটি দেশীয় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি হিসেবে শুধু ব্যবসা নয়, আমার মতো দেশের মানুষের সেবায় কাজ করছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগছে। ওয়ালটন আরো এগিয়ে যাক। আমি ওয়ালটনের সাফল্য কামনা করছি।’ উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ নভেম্বর ২০১৭/সুজন/রফিক