ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন

‘কী ভাগ্য আমার! যা আশা করলাম, তাই পেলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমি গরিব মানুষ। ভ্যান চালাই। টিভি-ফ্রিজের মতো দামি জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য নাই। শুধু পুরস্কারের আশায় ঋণ করে একটা ওয়ালটন টিভি কিনি। তাতেই আমার আশা পূরণ হয়েছে। ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় কেনা সেই টিভিতেই পেয়েছি ১ লাখ টাকা। কী ভাগ্য আমার! যা আশা করলাম, ঠিক তাই পেলাম।’ কথাগুলো মো. বাবুল হোসেনের। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার জালশুকা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ২৪ ইঞ্চি এলইডি টেলিভিশন কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন বাবুল হোসেন। ক্যাশ ভাউচার-প্রাপ্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এক ছেলে, এক মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে আমার ছোট পরিবার। আমরা খুবই গরিব। জমি-জমা নেই। সারা দিন ভ্যান চালিয়ে যে টাকা পাই, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাই। টিভি-ফ্রিজের মতো দামি পণ্য কেনা আমার মতো গরিবের পক্ষে সম্ভব ছিল না। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে চাইলেও কখনো কেনার চিন্তাও করিনি।’ বাবুল হোসেন জানান, ভ্যান চালানোর সুবাদে সারা দিন অনেক মানুষের সাথে তার পরিচয় হয়। এমনকি তিনি ওয়ালটনের পণ্যও ক্রেতাদের বাড়ি পৌঁছে দেন। সেই সূত্রে তিনি ওয়ালটনের কোটি টাকার অফার সম্পর্কে জানতে পারেন। ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সুযোগ আছে। গত দুই মাস ধরে এমন কথা অনেকের কাছে শুনে আসছেন বাবুল হোসেন। এসব কথা শুনে তার মনেও আশা জাগে। ভাবেন, ইস! তিনি যদি ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেতাম! তিনি বলেন, ‘কিন্তু এমনিতেই তা পাওয়া যাবে না। তার জন্য আগে পণ্য কিনতে হবে। চিন্তা করে দেখলাম কম টাকায় কী কেনা যায়। আবার বাড়িতে একটি টিভির খুব দরকার ছিল। শুধুমাত্র পুরস্কারের আশায় টিভি কেনার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু টাকা কোথায় পাব? পরে সাহস করে একজনের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ করি। সেটা দিয়ে টিভি কেনার সিদ্ধান্ত নিই।’

এই টেলিভিশন কিনেই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন বাবুল। টিভিসহ বাবুল ও তার স্ত্রী

বাবুল হোসেন জানান, গত ৬ ডিসেম্বর তিনি সাটুরিয়ায় ওয়ালটনের শোরুম বাশার ইলেক্ট্রনিক্সে যান। অনেক যাচাই-বাছাই করে ১৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ২৪ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি কেনেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিভি নিয়ে বাড়ি চলে যান। তিনি বলেন, ‘যাওয়ার পথে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকি। তিনি যেন আমার ভাগ্যে পুরস্কার মিলিয়ে দেন। আমার দোয়া কবুল হলো। বাসায় পৌঁছানোর আগে আমার মোবাইলে একটা মেসেজ আসে। আমি পড়তে জানি না। আমার ছেলে সঙ্গে থাকায় তাকে মেসেজটি পড়তে বলি। ছেলে মেসেজটি পড়েই আনন্দে চিৎকার করে বলে, আব্বা, আমরা পুরস্কার পেয়েছি। মেসেজে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার লেখা।’ বাবুল হোসেন বলেন, ‘এই সংবাদ শুনে আমার যে তখন কেমন লেগেছিল তা আমি বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, এই খবর আমার জীবনে সেরা সংবাদ। আল্লাহ আমার ভাগ্যে এমন উপহার রেখেছিল বলেই আমি তা পেয়েছি। আমার সব আত্মীয়-স্বজনও দারুণ খুশি। তবে বেশি খুশি হয়েছে আমার ছেলে-মেয়ে।’ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার দিয়ে কী কিনেছেন, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি গরিব হতে পারি। তাই বলে ছেলে-মেয়েকে আমার মতো বানাতে চাই না। আমি ভ্যান চালালে কি হবে। আমার ছেলে গাড়ি চালাবে। তাই লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছি।’ উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ডিসেম্বর ২০১৭/অগাস্টিন সুজন/রফিক