ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন

ভাগ্নির জন্য ওয়ালটন এসি কিনে পেলেন লাখ টাকার পণ্য

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ‘ভাবতেই পারিনি আমি এত বড় একটি পুরস্কার পাব। আমার জীবনের সব থেকে বড় এ পুরস্কার এটি, তাই আজ আনন্দটাও অনেক বেশি। তবে এখনও নিজেকে বিশ্বাস করাতে পারছি না যে, আমি এত বড় একটি পুরস্কার পেয়েছি।’ ওপরের কথাগুলো বলতে বলতে যেন চোখে-মুখে আনন্দের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ছিল বাণিজ্য মেলা থেকে ওয়ালটন এসি কিনে এক লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার বিজয়ী মো. আবু সামার। ওয়ালটন পণ্য কিনে প্রতিদিনই লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার ঘটনা ঘটছে সারা দেশে। ক্যাশ ভাউচারপ্রাপ্তদের তালিকা ইতিমধ্যে অনেক লম্বা হয়েছে। তবে আবু সামার খুশিটা একটু বেশিই। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। সেখানে আমি ব্যবসা করছি। ঢাকায় এসেছি কল্যাণপুরে ভাগ্নির বাড়িতে বেড়াতে। অনেক দিন ধরে ভাগ্নির জন্য একটা এসি কিনে দিতে বলেছিলেন মা। ঢাকায় আশার পরে ভাগ্নির কাছেই শুনলাম বাণিজ্য মেলায় এসির ওপরে অনেক ছাড় দিচ্ছে বেশ কয়েকটি কোম্পানি। তাই এসেছি (ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে)।’ ‘কারণ হিসেবে বলতে পারেন আমরা ওয়ালটন পরিবার। আমাদের পরিবারের সদস্যসহ বাসার বেশিরভাগ পণ্য ওয়ালটনের। বর্তমানে ফ্রিজ, এসি, টিভি, আয়রন, ব্লেন্ডারসহ যাবতীয় সামগ্রী সবই ওয়ালটনের।’ তিনি আরো বলেন, মেলায় এসে দেরি না করে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে আসি। ১০ শতাংশ ছাড়ে ৫৭ হাজার ১৫০ টাকায় এসি কিনলাম। যখন ক্যাশ কাউন্টারে টাকা পরিশোধ করছি, তখন তারা আমায় জানতে চাইল যে স্যার আপনি কোনো এসএমএস পেয়েছেন কি-না? তখন আমি মোবাইল চেক করে দেখি একটি এসএমএস পেয়েছি। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। তখন অন্য ক্রেতারা সবাই ভিড় করে আমায় দেখতে থাকে। সত্যি কী যে আনন্দ তা ভালোভাবে বলে বুঝাতে পারছি না।

 

ক্যাশ ভাউচারে পাওয়া পণ্য দিয়ে কী করবেন-জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসায় সবকিছুই আছে। তবে পুরস্কারে যেতা পণ্যে হিসেবে আমি নিচ্ছি তিনটি টিভি। একটি ছোট ভাইকে দিব, আর দুটো দুই বোনকে। আর আমাদের গাইবান্ধার এলাকার মানুষের কাছে ওয়ালটন পণ্যের কথা এখন সবার মুখে মুখে। আমার এই উপহার পাওয়ার পর থেকে অনেকেই ওয়ালটনের জিনিস কিনতে আরো আগ্রহী হবেন। আমি নিজেও এলাকার লোকজনকে ওয়ালটন পণ্য কেনা ও ব্যবহার কারার জন্য বলবো। আবু সামা বলেন, আমাদের দেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা বিভিন্ন অফারের কথা বলে, কিন্তু তা কার্যকর করে না। সেক্ষেত্রে ওয়ালটন ব্যতিক্রম। তারা কথার সঙ্গে কাজের মিল রেখেছে। উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোর গোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই অফারটি শুরু হয়েছে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩১ জানুয়ারি ২০১৮/নাসির/সাইফ