ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৮-১৯

মিজানুর-জুনায়েদের ব্যাটে জয়ে ফিরল ব্রাদার্স

ক্রীড়া প্রতিবেদক : জয়ের জন্য ব্রাদার্স ইউনিয়নের দরকার ১১ রান, সেঞ্চুরির জন্য জুনায়েদ সিদ্দিকের প্রয়োজন ৮। কিন্তু সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না ৩১ বছর বয়সি ব্যাটসম্যান। আউট হয়ে গেলেন ৯২ রানেই। জুনায়েদের আক্ষেপের আগে ঠিকই সেঞ্চুরি পেয়েছেন তার ওপেনার সঙ্গী মিজানুর রহমান। এই দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে নবাগত উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে সহজেই হারিয়ে জয়ে ফিরেছে ব্রাদার্স। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচটি ব্রাদার্স জিতেছে ৮ উইকেটে। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে উত্তরা করেছিল ২৬৪ রান। ব্রাদার্স সেটি পেরিয়ে যায় ১০ বল বাকি থাকতে। চতুর্থ ম্যাচে এটি ব্রাদার্সের দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে উত্তরার তৃতীয় হার।

 

বুধবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো সূচনা পায় উত্তরা। উদ্বোধনী জুটিতে ১০২ রান যোগ করেন তানজিদ হাসান ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ইমন ৭২ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে জনি তালুকদারের সঙ্গে ৫৪ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন তানজিদ। এরপর অবশ্য ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন দুজনই। জনি ৪৩ বলে একটি চারে করেন ২৩। তানজিদ ৯৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৭৫। দুজন শরীফউল্লাহর পরপর দুই ওভারে বোল্ড হন। এরপর উত্তরার স্কোর দুই শ পার হয় মোহাইমেনুল খান ও রাজা আলী দার ৬২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে ৫ উইকেট হারানোয় উত্তরার সংগ্রহটা বেশি বড় হয়নি। মোহাইমেনুল ৫১ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ ও রাজা করেন ১৯ রান। অফ স্পিনে ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ব্রাদার্সের সেরা বোলার শরীফউল্লাহ। ভারতীয় পেসার চিরাগ জনিও নেন ২ উইকেট, ৫৭ রানে। ৪৫ রানে একটি উইকেট মোহাম্মদ শরীফের।

 

লক্ষ্য তাড়ায় মিজানুর ও জুনায়েদের শতরানের জুটিতে ভালো সূচনা পায় ব্রাদার্স। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মিজানুর ফিফটি পূর্ণ করেন ৫৩ বলে, আর এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ১০৭ বলে। সেঞ্চুরির পর আর ইনিংস বড় করতে পারেননি মিজানুর। রাজা আলী দারের বলে আব্দুর রাজ্জাককে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় মিজানুর ১০৮ রান করে ফিরলে ভাঙে ১৬১ রানের বড় জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে মাহমুদ রাব্বীর সঙ্গে ৯৩ রানের আরেকটি বড় জুটিতে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান জুনায়েদ। এরপরই তিনি সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পোড়েন ক্যাচ দিয়ে। ফজলে মাহমুদ দলকে জিতিতেই মাঠ ছাড়েন। ১১২ বলে ৫ চারে ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান জুনায়েদ। ৫৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ফজলে মাহমুদ। ম্যাচসেরা হয়েছেন মিজানুর। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৯/পরাগ