ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ২০১৮-১৯

শেষ বলে ছক্কা, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মোহামেডানকে হারাল শেখ জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : লক্ষ্য আহামরি বড় ছিল না। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব আগে ব্যাটিং করে গুটিয়ে যায় ২৪০ রানে। জবাবে সহজ লক্ষ্য কঠিন বানিয়ে ফেলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। শেষ ৬ বলে ১২ রান লাগত তাদের। বিকেএসপিতে দুই পক্ষেরই জয়ের পাল্লা ভারী ছিল। ব্যাটিংয়ে ছিলেন তাইজুল ইসলাম ও এনামুল হক, বোলিংয়ে আলাউদ্দিন বাবু। প্রথম দুই বলে আসে ৩ রান। পরের বলে দুই রান নিতে গিয়ে তাইজুল রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। শেষ ৩ বলে দরকার ৯। চতুর্থ বলে নতুন ব্যাটসম্যান সালাউদ্দিন শাকিল নেন ১ রান। পঞ্চম বলে এনামুলের আরেকটি ডাবল। শেষ বলে দরকার ৬ রান। ডানহাতি পেসারের বলে পারফেক্ট টাইমিং এনামুলের। বল হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে সীমানার ওপারে। ছয়! শেখ জামালের জয়। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে এনামুল দলকে এনে দেন ২ উইকেটের স্বস্তির জয়।   

 

 

১৭ বলে ২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মোহামেডানের বিপক্ষে শেখ জামালকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতিয়েছেন এনামুল। শেষ দিকে শেখ জামাল ম্যাচ কঠিন করে ফেললেও তাদের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ হোসেন ও তানবীর হায়দার। এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তানবীর ৩৯ রানে সোহাগ গাজীর হাতে ক্যাচ দেন। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শেখ জামাল। নাসির ২৫, আশেলা গুনারত্নে ২০, অধিনায়ক কাজী নুরুল হাসান সোহান ৩২ রানে ফেরেন সাজঘরে। মাঝে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া ইমতিয়াজ তান্নাকে থাামান স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ৭৪ রানে ফেরেন ডানহাতি ওপেনার। ১০২ বলে ইনিংসটি সাজান ১০ বাউন্ডারিতে। মধ্যভাগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ দিকে চাপ বাড়ে শেখ জামালের। যদিও শেষটা ভালোমতোই সামলে নেন এনামুল হক। ২৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার। মোহামেডানের হয়ে বল হাতে সোহাগ গাজী ৪৩ রানে ৩টি এবং চতুরঙ্গ ডি সিলভা ৩৬ রানে নেন ২ উইকেট।

   

এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা বাজে করে মোহামেডান। ৫৪ রান তুলতেই ৩ উইকেট নেই তাদের। ইরফান শুক্কুর (১৭), তুষার ইমরান (০) ও রকিবুল হাসান  (১৪) ফেরেন সাজঘরে। দলে ফেরা আশরাফুলকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আব্দুল মজিদ। দুজন দলকে টেনে নেন ১১৬ রান পর্যন্ত। তানবীর হায়দার আশরাফুলকে ফেরান ৪৪ রানে।  মজিদ দলীয় ১৩০ রানে আউট হন ৫২ রানে। এরপর চতুরঙ্গ ডি সিলভার ৪৯ ও সোহাগ গাজীর ৩২ রানে ২৪০ রানের লড়াকু স্কোর পায় মোহামেডান। বল হাতে শেখ জামালের সেরা পেসার সালাউদ্দিন ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন এ পেসার। ২টি উইকেট নেন গুনারত্নে। টানা তিন জয়ের পর টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের স্বাদ পেল মোহামেডান। পাঁচ রাউন্ড শেষে এটি তাদের দ্বিতীয় পরাজয়। অন্যদিকে শেখ জামাল পাঁচ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় জয়ের মুখ দেখল।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল