ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার টি২০ লিগ

‘আনকোরা’ রুবেল হারালেন আবাহনীকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : একেবারেই নতুন মুখ নন তিনি। এর আগে প্রিমিয়ার লিগে দুই-একটি ক্লাবে খেলেছিলেন। কিন্তু কখনোই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাই তার নাম শোনাও যায়নি। সচরাচর রুবেল নাম শুনলেই পেসার রুবেলের ছবি সবার চোখের সামনে ভেসে উঠে। আজও রুবেল মাঠে ছিলেন। কিন্তু সব আলো আজ কেড়ে নিয়েছেন ‘আনকোরা’ রুবেল মিয়া। ২৪ বছর বয়সি এ ক্রিকেটারের দারুণ ব্যাটিংয়ে আবাহনীকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। জিতলেই সেমিফাইনাল, হারলেই বিদায়। এমন সমীকারণে মিরপুর শের-ই-বাংলায় আজ মাঠে নেমেছিল আবাহনী লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ওপেনার রুবেল মিয়ার দারুণ ব্যাটিংয়ে এলোমেলো আবাহনী শিবির। ডানহাতি এ ওপেনার ৫৬ বলে করেন ৭৬ রান। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংসটি। তার ইনিংসে ভর করে আবাহনীর বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। পরবর্তীতে মোহর শেখ ও অলোক কাপালির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি আবাহনী। ৪৯ রানের হারে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল গতবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। প্রাইম ব্যাংককে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। ২২ বলে দলটির অধিনায়ক করেন ৩৭ রান। ১ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। তার শুরুর ঝড়ে ৮.৩ ওভারে ৬৭ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। জাকারিয়া ইসলামের বলে বিজয় ফেরার পর খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন রুবেল মিয়া। ২২ গজে দাপট দেখিয়ে উইকেটের চারিপাশে শট খেলেন ডানহাতি ওপেনার। মাঝে জাকির হাসান (১৭) ও আল-আমিন (২০) বিদায় নিলেও তার ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়েনি। ৪০ বলে তুলে নেন ফিফটি। আগের ম্যাচে ৪৪ করে থেমে গেলেও এবার ইনিংস বড় করেন। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে রুবেল মিয়া যখন আউট হন তখন দলের রান ১৬৭। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন আরিফুল। ১৫ বলে ১ ছক্কায় ২১ রান আসে আরিফুলের ব্যাট থেকে। আগের দিন ব্যাটে ঝড় তোলা মিলন অপরাজিত থাকেন ১ রানে। আবাহনীর বোলিংয়ে সবথেকে খরুচে ছিলেন জাকারিয়া। ১ ওভারে ২৪ রান খরচ করেন এ স্পিনার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সাইফউদ্দিন, রুবেল, আরিফুল ও সাব্বির। লক্ষ্য তাড়ায় ২০ রানে ৩ উইকেট হারায় আবাহনী । পেসার আল-আমিন হোসেন আবাহনীর শাকিল হোসেন (৬) ও সাব্বির রহমানকে (৬) ফেরান। মোহর শেখ নেন জাহিদ জাভেদের (৬) উইকেট। চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসন শান্ত ও মোসাদ্দেক জুটি গড়লেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এ দুই ব্যাটসম্যানকে অষ্টম ও দশম ওভারে সাজঘরে পাঠান অলোক কাপালি। শান্ত ১১ ও মোসাদ্দেক ১৭ রান করেন। হতাশ করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (১২)। স্পিনার আল-আমিনের বলে ক্যাচ দেন আরিফুলের হাতে। ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আবাহনী। নয়ে নামা রুবেল হোসেন দেয়াল হয়ে দাঁড়ান। প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের কড়া শাসন করে ২৩ বলে তুলে নেন ৩৬ রান। ৩ চার ও ২ ছক্কা হাকান জাতীয় দলের এ পেসার। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। ১৭তম ওভারে রুবেল শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হলে পরাজয় নিশ্চিত হয় আবাহনীর। মোহর শেখ ও অলোক কাপালি ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। পেসার আল-আমিনের শিকার ২ উইকেট। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন রুবেল মিয়া। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল