ইয়াসিন হাসান ইংল্যান্ড থেকে

ব্যাটিং ‘স্বর্গে’ রানে ফেরার আশায় তামিম

টনটন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : চলতি বিশ্বকাপের আগে টনটন মাঠে দুই শর নিচে হয়নি কোনো ইনিংস। চার ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৭৩। সর্বনিম্ন ২১৬। টনটনে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তান করেছিল ১৭২। জবাবে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৭ উইকেট হাতে রেখে। পরিসংখ্যান ঘেঁটে জানা গেল, এখানের উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। এ মাঠে রয়েছে দুটি কোয়াড্রুপল সেঞ্চুরি।  আর্চি ম্যাকলারেনের ৪২৪ রানের ৯৩ বছর পর গ্রায়েম হিক ৪০৫ করেছিলেন। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ১৯৮৫ সালে এ মাঠে একদিনে করেছিলেন ৩২২ রান। সৌরভ গাঙ্গুলির বিশ্বকাপে হাঁকানো ১৮৩ রানের ইনিংসটি ছিল এ মাঠেই। বলে রাখা ভালো সবশেষ ম্যাচে এখানে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তামিম ইকবাল কি বাঁহাতিদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবেন? ‘আশা করি...। আশা তো করি এটাই হোক। আমি কোনো সময় এখানে খেলিনি। সব সময় শুনে এসেছি ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ এটা। এখন উইকেটটা একটু ভিন্নভাবে বানাচ্ছে।’ বিশ্বকাপের আগে তামিমের কাছে এমন চাওয়া থাকলে মোটেও বাড়াবাড়ি হতো না।  কিন্তু এখন তামিম রানে ফেরার লড়াইয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো শুরু ও উইকেটে থিতু হওয়ার পর নিজের উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার।  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরুর আগেই নিভে গেছে আলো। নিজের আউট ও বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত নিজের পথচলা নিয়ে হতাশা ঝরল তামিমের কন্ঠে,‘আমার যেই ব্যাটিং গ্রাফ... হয় আমি খুব তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যাই, নয়তো আমি দশ ওভার টিকে যাই তারপর ইনিংস লম্বা করি। সচরাচর ইনিংস বড় হয় আমার। এটা একটু হতাশার যে প্রথম তিন ম্যাচেই আমি পরিশ্রম করে নিয়েছিলাম। যেমন ৫-৭ কিংবা ৮ ওভার ভালোমতো টিকে গিয়েছিলাম। শুরুর চ্যালেঞ্জ শেষ করেছিলাম ভালোভাবে। আমার পক্ষে যখন সবকিছু আসার কথা ছিল ওই সময়টায় আমি উইকেট উপহার দিয়েছি। বিশেষ করে দুটি  ম্যাচে উইকেট থ্রো করেছি। এটা হতাশার। পরশুর ম্যাচে যদি উইকেটে টিকে যাই তাহলে অবশ্যই বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করব।’ মাঠের আকৃতি নিয়ে অনেক কথা উঠছে। ছোট মাঠ বলেই নাকি এটা ব্যাটিং প্যারাডাইস! তামিমের কাছে অবশ্য মাঠ ছোট কিংবা বড় নিয়ে তেমন মোহ নেই, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়, ফর্মে থাকলে বড় মাঠ ছোট হয়ে যায়। আবার ফর্মে না থাকলে ছোট মাঠ বড় হয়ে যায়। এটা নিয়ে আসলে ভাবার কিছু নেই। ’ রাইজিংবিডি/টনটন/১৫ জুন ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ