ইয়াসিন হাসান ইংল্যান্ড থেকে

হাবিবুল বাশারকে ছুঁলেন মাশরাফি

টনটন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই হাবিবুল বাশার সুমনকে ছুঁতে পারতেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। আজ তাহলে প্রাক্তন অধিনায়ককে ছাড়িয়ে যেতে পারতেন বর্তমান অধিনায়ক। বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছিল। ড্রেসিংরুমে অলস সময় কাটিয়েছিলেন ক্রিকেটারররা। মাশরাফি তাও একটু ব্যস্ত ছিলেন। পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে যেতে হয়েছিল। অধিনায়ক বলে কথা! আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস করতে নেমে অধিনায়ক মাশরাফি হাবিবুল বাশারের একটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডটি দীর্ঘদিন নিজের কাছে রেখেছিলেন হাবিবুল বাশার। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে গিয়েছিল দল। বাংলাদেশ সেবার খেলেছিল ৯ ম্যাচ। হাবিবুল বাশার ৯টিতেই ছিলেন অধিনায়ক। বাংলাদেশ সেবার বিশ্বকাপে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল। ওই বিশ্বকাপ ছিল সাকিব, তামিম, মুশফিকদের প্রথম, মাশরাফির দ্বিতীয়। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি খেলছেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপে তার হাত ধরেই বাংলাদেশ খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপে ও দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাশরাফি। অনন্য এ অর্জনের পাশাপাশি এবার নতুন কীর্তি গড়ার অপেক্ষায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক (৮০ ম্যাচে ৪৫ জয়)। আজ নবমবারের মতো মাশরাফি লাল-সবুজ জার্সীধারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পরের ম্যাচেই হাবিবুলকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপ শেষে তিনি উঠে যাবেন চূড়ায়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিল। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৫ ম্যাচে জিতেছিল ২টিতে। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ খেলেছিল খালেদ মাসুদ পাইলটের নেতৃত্বে। বাংলাদেশ ৬ ম্যাচের ৫টিতেই হেরেছিল। হাবিবুলের ২০০৭ সালের পর ২০১১ সাল সাকিব ছিলেন অধিনায়ক। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের হাত ধরে বাংলাদেশ সেবার জিতেছিল ৩টিতে, হেরেছিল ৪টি।  মাশরাফি ফিট না থাকায় ঘরের মাঠে ২০১১ সালে সাকিব নেতৃত্ব পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে মাশরাফি বাংলাদেশকে নিয়ে যান কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার শেষ চারে যেতে পারে কি না, সেটাই দেখার। রাইজিংবিডি/টনটন/১৭ জুন ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ