ইয়াসিন হাসান ইংল্যান্ড থেকে

জয়ের তাড়নাই ছিল না বাংলাদেশের!

লন্ডন থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক : বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ। জিতলে লাভ নেই, হারলেও ক্ষতি নেই। রেকর্ড বুকে শুধু জয়-পরাজয় লিখা থাকবে।

সমীকরণ যখন এরকম নিষ্প্রাণ, তখন মাঠের ক্রিকেটে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার দরকার কি আছে? এমন ভাবনা কি বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে? অধিনায়ক মাশরাফি সরাসরি স্বীকার করতে পারেন না। তবে বুঝিয়ে দেন অনেক কথায়, ‘আসলে জেতার মতো অবস্থায় যে নামিনি সেটা না। তবে একটা সত্যি কথা, যখন আপনি জানেন যে সেমিফাইনালে খেলবেন না । হয়ত একটা ব্যাক অফ দ্য মাইন্ডে কাজ করতে পারে কারো কারো।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যেমন-তেমন হলেও ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষা ছিল বাজে। শরীরে ছিল জড়তা। জয়ের জন্য যে ক্ষুধা, আগ্রাসন থাকার কথা ছিল তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন অগোছালো পারফরম্যান্সে জয়ের প্রত্যাশা করা বাড়াবাড়ি। ফলে বড় হারের লজ্জা নিয়ে অনেক আশার বিশ্বকাপের মিশন শেষ করল বাংলাদেশ।

‘খেলোয়াড়রা হতাশ থাকতে পারে। এটা স্বাভাবিক। এই ধরণের ম্যাচ আসলে কঠিন হয় দুদলের জন্যই। পাকিস্তান শেষ ম্যাচ জিতে একটা মোমেন্টামে ছিল। যেটা হয়তো আমাদের ছিল না। আমরা জিতছি, হারছি এভাবে টিকে ছিলাম। যখন ভারতের সঙ্গে হেরে বাদ গেলাম তখন সবাই হতাশ হয়ে পড়েছে।’ – বলেছেন মাশরাফি।

পেশাদার ক্রিকেটে জয়ের তাড়না না থাকা অন্যায়। বিশেষ করে বিশ্বকাপের ম্যাচে যেখানে সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর নির্ভর করে অনেক কিছু। সেখানে জয়ের চিন্তা, ক্ষুধা না থাকা এক অর্থে নিজেদের সাথে নিজেদের প্রতারণা!

তবে বিশ্বকাপে নিজেদেরকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে খেলোয়াড়রা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন অধিনায়ক। ‘আমি মনে করি খেলোয়াড়েরা তাঁদের সেরা চেষ্টা করেছে। আমি যেটি বলেছি, কিছু জায়গা আছে আমরা যেখানে অনেক উন্নতি করতে পারতাম। আমরা জানতাম আমাদের দুর্বলতা কোথায়। কিন্তু আমরা পারিনি......আমি মনে করি এই দুর্বলতা কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যেতো।’

‘সত্যি কথা বলতে এই দুর্বলতার জায়গাগুলো নিয়ে পুরো দলই হতাশ। অপরদিকে আমি মনে করি আমরা আরো ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম। তবে আমরা যদি এই ম্যাচটি ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। আপনি বলতে পারেন ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না।’ – যোগ করেন মাশরাফি।

 

রাইজিংবিডি/লন্ডন/৬ জুলাই ২০১৯/ইয়াসিন/আমিনুল