ইয়াসিন হাসান ভারত থেকে

সিরিজ জয় নয়, পারফরম্যান্সে মনোযোগ বাংলাদেশের

সুখী পরিবারে কোনো পিছুটান থাকে না। থাকে না ব্যর্থতা খোঁজার অযৌক্তিক কারণ। বকবকানি নেই, বরং সাফল্য ধরে রাখার মন্ত্র খুঁজে বের করা হয় সেখানে।

বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা এমনই। একখন্ড সুখী পরিবার। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর পর ড্রেসিং রুম এখন চনমনে। শরীরী ভাষায় এসেছে আগ্রাসন। আর পেয়েছে বুক ভরা আত্মবিশ্বাস। যে আত্মবিশ্বাসে আফিফ হোসেন বলে দেন, ‘ম্যাচ জিতলে আসলে সেরকম ত্রুটি বের হয় না।’

দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ জিতেছে ঠিকই, কিন্তু বোলিং, ব্যাটিংয়ে ভুল হয়েছে কিছু জায়গায়। সেসব জায়গা নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাচ্ছে না দল। বরং নিজেদের কাজগুলো কীভাবে ঠিক করা যায়, সেদিকেই পুরো মনোযোগ। সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।

অনুশীলন শেষে আফিফ জানালেন দলের ভেতরের কথা, ‘আমাদের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো। প্রথম ম্যাচ জিতে সবাই ভালো অনুভব করছে। আমরা পরবর্তী ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি জিতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। রাজকোটে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ বৃহস্পতিবার। দিল্লিতে বিজয়ের পতাকা উড়ানো বাংলাদেশ আরেকটি জয় পেলেই জিতে যাবে সিরিজ। তবে সিরিজ জয়ের চিন্তা নিয়ে মাঠে নামতে চায় না দল। নিজেদের পারফরম্যান্সে চোখ বাংলাদেশের। দলের বিশ্বাস, পারফর্ম করলে সিরিজ জেতা যাবে আপনাআপনি।

‘সিরিজ হারা বা জেতার পরিকল্পনা এখনই করছি না। আমরা আমাদের কাজে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা সেরা পারফর্মটা করলে যা হওয়ার তা হবেই। আমাদের সেরা পারফর্মটা করার চেষ্টা করব’- বলেছেন আফিফ।

ম্যাচ হেরে পিছিয়ে থাকা ভারতের ওপর এখন রাজ্যের চাপ। প্রতিপক্ষ ভারতকে নিয়ে তেমন মুখ খুলতে চাইলে না স্বল্পভাষী আফিফ। তবে নিজেদের আত্মবিশ্বাস যে বেড়েছে, সে কথা লুকাননি, ‘ভারত চাপে কি না, বলতে পারব না। আমরা প্রথম ম্যাচ জেতার পর অনেক আত্মবিশ্বাসী আছি। আমাদের জায়গা থেকে ভালো অনুভব করছি। এটা আমাদের সাহায্য করবে আরও ভালোভাবে খেলতে।’ রাজকোট/ইয়াসিন/পরাগ