ইয়াসিন হাসান ভারত থেকে

কোথায় ভুল করছে বাংলাদেশ, জানালেন কোচ

দিল্লিতে ভারতকে হারানোর পর আফিফ হোসেন বলেছিলেন, ‘দল জিতলে আসলে ভুলগুলো বের করা হয় না।’

ব্যাট-বলের নিখুঁত টাইমিংয়ের মতো কথাটাও সত্য বলেছিলেন আফিফ।  দল জেতায় দিল্লির ভুলের পোস্টমর্টেম হয়নি।  তাইতো রাজকোটে সেই একই ভুল করেছিল বাংলাদেশ। কখন, কোন পরিস্থিতিতে আক্রমণ করা উচিত সে পরিকল্পনা নেই ব্যাটসম্যানদের! বাংলাদেশের কোচের আক্ষেপ, ব্যাটসম্যানদের এ জায়গায় কাজ করার আছে অনেক। 

লিটন ও নাঈমের ৬০ রানের জুটির পর সৌম্য উইকেটে এসে দারুণ ব্যাট করেন। কিন্তু নাঈম আউট হওয়ার পর হঠাৎ ছন্দপতন বাংলাদেশ শিবিরে। মুশফিক নিজের সবথেকে পছন্দের শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন।  সৌম্য নিজের গড় রান ছুঁতেই ফেরেন সাজঘরে।  সবকিছুর পরও ১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিল ৯৭।  সেখানে ১১ ওভারে ভারত রান তোলে ১১৯।  এক ওভারের ব্যবধানে দুই দলের রান ব্যবধানে পার্থক্য আকাশচু্ম্বি হয়ে যায় রোহিতের এক ক্যামিওতে।  মোসাদ্দেকের করা ১২তম ওভারে রোহিত পরপর তিন ছক্কা হাঁকান।  তাতেই ব্যবধান বেড়ে যায়।

পাশাপাশি ওই সময়ে বাংলাদেশ হারায় উইকেট, ভারত ধরে রাখে নিজেদের ছন্দ।  ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী যেভাবে ব্যাটিং করা দরকার সেভাবে ব্যাটিং হয়নি বাংলাদেশের।  ব্যাটসম্যানদের ভুল ধরিয়ে দিয়ে কোচ ডমিঙ্গো শনিবার নাগপুরে বলেছেন, ‘দেখুন আমরা ১২.২ ওভারে ১০০ রান তুলেছিলাম। ভারত ১১ ওভারে পেয়ে যায় ১০০।  তারা মাত্র এক ওভার আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানদের এখান থেকেই শিখতে হবে। আফিফ, সৌম্য, মোসাদ্দেক- ওদের বুঝতে হবে ওদের উইকেট কতোটা গুরুত্বপূর্ণ।  ছোট ভুলে কী হতে পারে সেটা বুঝতে হবে। আমরা আগামী বছর যখন বিশ্বকাপ খেলব তখন আমরা শিখে যাব ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী কিভাবে ব্যাটিং করা যায়।  পাশাপাশি আগামীকালের ম্যাচেও আমরা যেন ভুলগুলো না করি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডমিঙ্গো কথা বলেছেন বোলিং নিয়েও, ‘আমরা প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিং করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং ঠিকঠাক ছিল কিন্তু একজন সেরা খেলোয়াড়ের কাছে আমরা হেরেছি। এটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হতেই পারে। তাই বোলিং নিয়ে আমি উদ্বিগ্নের কিছু দেখি না।’ নাগপুর/ইয়াসিন/আমিনুল