ইয়াসিন হাসান ভারত থেকে

এমন ‘দুর্ঘটনা’র জন্য প্রস্তুত ছিল না বিসিবি

এক টেস্টে দুই কনকাশন সাব। বিসিবি প্রস্তুত ছিল না মোটেও। হাবিবুল বাশার খুব হতাশা নিয়েই বললেন, ‘এমন দুর্ঘটনার জন্য কি কেউ প্রস্তুত থাকে! একটা হলেও হতো। সাইফ ফিট থাকলে লিটনের পরিবর্তে নামতে পারত। কিন্তু সাইফও হুট করে ইনজুরিতে পড়ল। এরপর নাঈম। এমন সময়ে রিপ্লেসমেন্ট আসে না। আবার খেলা হচ্ছে গোলাপি বলে। চাইলেই সবকিছু করা সম্ভব হয় না।’

উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ভালো শুরুর পর মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার বদলি হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। আর অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বদলি হিসেবে নামেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। লিটন-নাঈম দুজনই মোহাম্মদ শামির বলে মাথায় আঘাত পেয়ে ছিটকে গেছেন ইডেন টেস্ট থেকে।

ভাগ্যিস কনকাশন সাব ছিল। নয়তো বাংলাদেশকে ইডেন টেস্ট খেলতে হতো নয় জন নিয়ে! তবে এই দুর্ঘটনার জন্য বিসিবি প্রস্তুত ছিল না মোটেও। ব্যাটসম্যানের বদলি হিসেবে ব্যাটসম্যান নামানোর কথা। আইসিসি কনকাশন সাব নিয়ম করার পর অস্ট্রেলিয়া প্রথম দল হিসেবে সুবিধা নেয়। অ্যাশেজে জোফরা আর্চারের বল স্টিভেন স্মিথের মাথায় আঘাত করলে মাঠ ছাড়েন।  তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মার্নাস লাবুশানে।

ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে লিটনের মাথায় দুবার বল আঘাত করে। শামির বলে প্রথমটা আঘাত করে ১৫ রানে, দ্বিতীয়টা ২৪ রানে। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান লিটন। ড্রেসিং রুমে ফিরে পরে যান হাসপাতালে। সেখানে তার মাথায় স্ক্যান করানো হয়। ভালো খবর হলো, রিপোর্টে খারাপ কিছু আসেনি। ইন্দোরে খেলার সুযোগ না পাওয়া নাঈম হাসান ফিরেছিলেন এই ম্যাচে। কিন্তু মাথায় বলের দুবার আঘাতে নাঈম ছিটকে গেছেন।  দ্বিতীয় আঘাতের পর নাঈম সাহস করে এক বল খেলেছিলেন।  এক বল পরই ফেরেন সাজঘরে।

ড্রেসিং রুম থেকে নাঈমকেও নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তারও স্ক্যান করানো হয়। লিটনের মতো নাঈমের স্ক্যান রিপোর্টেও খারাপ কিছু আসেনি। 

ব্যাটসম্যান লিটনের পরিবর্তে আসায় মিরাজ শুধু ব্যাটিং করতে পারবেন। বোলিং করতে পারবেন না। তাইজুল বোলারের জায়গায় আসায় তার বোলিং করতে বাধা নেই। কলকাতা/ইয়াসিন/পরাগ