ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যে কারণে মোজাফ্‌ফরকে অভিনন্দন

স্বকৃত নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যে কারণে মোজাফ্‌ফরকে অভিনন্দন

‘অতীত একটা ভিনদেশ’ বইয়ের প্রচ্ছদ, ইনসেটে লেখক মোজাফ্‌ফর হোসেন

|| স্বকৃত নোমান ||

সাহিত্য পুরস্কার বিষয়ে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। লেখকের যদি লেখার শক্তি থাকে, পুরস্কার তার পিছে ছুটবে, পুরস্কারের পেছনে তাকে ছুটতে হবে না। পুরস্কারদাতারাই তাকে পুরস্কার দিয়ে ধন্য হবে। কোনো লেখকই পুরস্কারের জন্য লেখেন না, প্রকৃতই যদি তিনি লেখক হন। কিন্তু কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠান যদি লেখককে পুরস্কৃত করতে চায়, লেখক তা কেন সাদরে গ্রহণ করবেন না? একেবারে সুনির্দিষ্ট যদি কোনো কারণ থাকে, যেমন পুরস্কারটি যদি কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি বা সংগঠনের হয়, তাহলে অবশ্যই তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করবেন। নইলে পুরস্কার গ্রহণ না করার মধ্যে আমি কোনো কারণ দেখি না। তবে লেখককে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, পুরস্কার তার মুকুট নয়, মুকুটের পালকও নয়; পুরস্কার হচ্ছে তার বাহুল্য একটি পরিধান। যেমন আঙটি, যেমন গলার হার। পরলেও চলে, না পরলেও চলে। মাথার ওপর নয়, সমস্ত পুরস্কার লেখক পায়ের তলায় রাখবেন।

হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাংলাদেশে প্রচলিত সাহিত্য পুরস্কারগুলো আমি ইতিবাচকভাবেই দেখি। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে, যে দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো জ্ঞানকাণ্ডে অবিকশিত, নানা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন, সেই দেশে লেখালেখির জন্য লেখকের পুরস্কৃত হওয়াটা আমি অনেক বড় ব্যাপার বলেই মনে করি। বাংলাদেশের মতো মধ্য আয়ের একটি দেশে পুরস্কারপ্রাপ্তির একটা সুবিধা আছে। লেখার জন্য দুটি জিনিসের খুব প্রয়োজন: পাঠ ও ভ্রমণ। পড়া ও দেখা। লেখককে প্রচুর বই কিনে পড়তে হয় এবং প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়। বাংলাদেশে লেখালেখির জন্য এখন যে পুরস্কারগুলো দেওয়া হচ্ছে তার কোনোটিই পঞ্চাশ হাজার টাকার নিচে নয়। একজন তরুণ লেখক যখন এমন একটি পুরস্কার পায়, তখন তার হাতে বেশ কিছু টাকা আসে। সেই টাকায় তিনি বই কিনতে পারেন এবং ভ্রমণ করতে পারেন। এটা তার লেখালেখির জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া গাঁটের টাকা খরচ করে কোনো লেখকের পক্ষে পত্রপত্রিকায় তার বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া সম্ভব হয় না। দেওয়া উচিতও নয়। পুরস্কারপ্রাপ্তির পর লেখকের বইটির একটা বিজ্ঞাপন হয়। লোকে বইটির কথা জানতে পারে। তাতে লেখকেরও লাভ, পাঠকেরও লাভ।

তা ছাড়া, আমি মনে করি, প্রত্যেক পুরস্কারেরই একটা সামাজিক মূল্য থাকে। তরুণ লেখকটি যা লিখেছেন তা আদৌ কিছু হলো কিনা, পুরস্কারের মধ্য দিয়ে তার একটা মূল্যায়ন ঘটে। এর মধ্য দিয়ে তার মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি হয়। পুরস্কার একটি সামাজিক স্বীকৃতিও বলা চলে। একই সঙ্গে পুরস্কারের নেতিবাচক দিকও আছে। আঁদ্রে মারোয়া বলেছিলেন, ‘সাহিত্যের জন্য প্রদত্ত পুরস্কার জনমনে অতিরিক্তি আগ্রহ সৃষ্টি করলে, পুরস্কার প্রাপকের পক্ষে তা ক্ষতিকর হয়। আকস্মিক এবং ফেনানো খ্যাতি লেখকের শক্তিকে পূর্ব স্থানেই সীমিত করে রাখে! অবশ্য খ্যাতির যোগ্যতা প্রমাণ এবং জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তিনি পূরণ করতেও হয়ত সমর্থ হতে পারেন, কিন্তু যদি তিনি জনমন থেকে মুছে যান, তবে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রসারিত সাফল্যের প্রতিশ্রুতি হারানোর বেদনা অতিশয় মর্মন্তুদ হয়ে ওঠে।’

আঁদ্রে মারোয়ার সঙ্গে আমি মোটামুটি একমত। কিন্তু যে লেখক প্রতিশ্রুতিবান, লেখাই যার প্রার্থনা, তিনি কখনোই জনমন থেকে মোছেন না। সাময়িকভাবে মুছে গেলেও একদিন ঠিকই আবার ভেসে উঠবেন। মোছেন তারাই, যারা লেখাকে ক্যারিয়ার গঠনের মাধ্যম হিসেবে নেন। প্রকৃত লেখক পুরস্কারের জন্য তদবির করেন না, তোষামোদি করেন না, পুরস্কারের জন্য কান্নাকাটি করেন না। পুরস্কার তিনি পান, পেয়ে আবার ভুলেও যান।

পুরস্কার সম্পর্কে এত কথা বলার একটা উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্যটা হচ্ছে এই, বর্তমান প্রজন্মের তরুণ লেখক মোজাফফর হোসেন ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারে’ ভূষিত হতে যাচ্ছেন। গত ২ নভেম্বর বাংলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বছর পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন অন্যদিন সম্পাদক মাযহারুল ইসলাম। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য এবার পুরস্কৃত হচ্ছেন গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত এবং তরুণ ক্যাটাগরিতে মোজাফফর হোসেন। ঘটনাক্রমে আমিও সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে চিত্রকর সাহাদাত পারভেজের তোলা মোজাফফর ও আমার একটি যৌথ ছবিসহ ফেসবুকে মোজাফফরকে অভিনন্দন জানিয়ে একটা পোস্ট দেই।

পোস্টটি আমি অত্যন্ত সচেতনভাবেই দিয়েছিলাম। দেওয়ার পেছনে একটা কারণ ছিল। এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন পুরস্কারের জন্য বই চেয়ে যখন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, তখন একদিন মোজাফফর বললেন, ‘‘আমার অতীত একটি ভিন দেশ’ গল্পের বইটি পুরস্কারের জন্য জমা দেয়া যায় কিনা ভাবছি।’

আমি বললাম, ‘আপনি কেন বই জমা দেবেন? বই জমা দেবে তো আপনার প্রকাশক।’

তিনি বললেন, ‘পাঁচটি বই জমা দিতে হবে। পাঁচটি বইয়ের দাম তো কম নয়। প্রকাশক হয়ত এখনো বইটি বিক্রি করে ছাপা-খরচও তুলতে পারেননি। তার পক্ষে পাঁচটি বই জমা দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।’

বললাম, ‘তাহলে আপনি জমা দিতেই পারেন, যদি আপনার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা না থাকে।’

তখন মোজাফফর বললেন, ‘কিন্তু আমাকে একজন বলেছেন বই জমা দিয়ে নাকি লাভ নেই। এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন পুরস্কার নাকি এই বছর কাকে দেওয়া হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা আছে। আমাকে দেবে না। শুধু শুধু বই জমা দিয়ে কী লাভ?’

আমি মোজাফফরকে সেদিন যে কথাগুলো বলেছিলাম তা ছিল এই, ‘‘দেখুন মোজাফফর, যিনি আপনাকে এই কথাটি বলেছেন তিনি ঠিক বলেননি। কথাটি তিনি অন্য কোনো উদ্দেশ্য থেকে বলেছেন, আমি নিশ্চিত। আমি মনে করি না বর্তমানে যেসব প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান সাহিত্য পুরস্কার দেয় তারা এতটা অধঃপতনে গেছে, এতটা সিন্ডিকেটবাজি করে। আমার অভিজ্ঞতা কিন্তু ভিন্ন। আমি এ যাবৎ যত পুরস্কার পেয়েছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরস্কার পাওয়ার আগে পুরস্কারদাতা সংশ্লিষ্ট কাউকে চিনতামই না। নামে চিনলেও কোনোদিন আলাপ-পরিচয় হয়নি।’ আমার ‘রাজনটী’ উপন্যাসের জন্য এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের দিন আমি কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাতকে জিজ্ঞেস করেছি, ‘আচ্ছা, এখানে হাসনাত ভাই কে?’ হাসনাত ভাই বললেন, ‘আপনি বসুন, একটু পর হাসনাত ভাই আসবেন।’

আমি বসলাম। খানিক পর লুভা নাহিদ চৌধুরী মাইকে ঘোষণা দিলেন হাসনাত ভাইয়ের নাম। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে খেয়াল করলাম, যে লোকটিকে আমি হাসনাত ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম তিনিই চেয়ার থেকে উঠে ডায়াচের দিকে যাচ্ছেন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার জন্য। নিজের বোকামির জন্য তখন খানিকটা লজ্জা হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি মনে করি না এসব ছোটখাটো পুরস্কারের জন্য তদবির করতে হয়, হাতে-পায়ে ধরতে হয়। এসব পুরস্কার পাওয়ার মতো যোগ্য লেখক কি বাংলাদেশে নেই? বাংলাদেশের সাহিত্যের অবস্থা এতই খারাপ! এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি না এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন কোন লেখককে পুরস্কৃত করবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখেন। আপনি নিশ্চিন্তে বই জমা দিন। যদি আপনার লেখার শক্তি থাকে, নিশ্চিতভাবেই আপনি পুরস্কৃত হবেন।’’

প্রায় মাসখানেক পর, সেদিন, গত বুধবার, মোজাফফর আমাকে জানালেন, ‘‘এ বছর আমার ‘অতীত একটি ভিনদেশ’ বইটির জন্য আমাকে এক্সিম-ব্যাংক অন্যদিন পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।’’ সঙ্গে সঙ্গে আমি বললাম, ‘কেন, এই বছর কাকে পুরস্কার দেবে, সেটা না আগে থেকেই ঠিক করে রাখা?’ মোজাফফর হাসলেন। আমি তাকে আবারও বললাম, ‘যে লোকটি আপনাকে ওই কথাটি বলেছিলেন আমি জানি না তিনি কে- কথাটি তিনি ঠিক বলেননি। এটা বলার পেছনে তার অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল। আমি নিশ্চিত। আপনাকে অনুৎসাহিত করার জন্য তিনি এ ধরণের মিথ্যা প্রচার করেছেন। এটা তিনি মোটেই ঠিক করেননি। একটা সাহিত্য পুরস্কার সম্পর্কে এভাবে মুখস্ত কথা বলে দেওয়া, এভাবে অপপ্রচার চালানোটা তার উচিত হয়নি। কোনো চোর-ডাকাতকে সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয় না, সাহিত্যিককে দেওয়া হয়। এসব কথা বলে পুরস্কারকে বিতর্কিত করার কোনো মানে নেই। এখন তো প্রমাণ হলো, এ বছর কাকে পুরস্কৃত করা হবে তা আগে থেকে ঠিক করা ছিল না!’ মোজাফফর আমার সঙ্গে একমত হলেন।

তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, নিরপেক্ষ বিচারের মধ্য দিয়েই পুরস্কৃত হয়েছেন মোজাফফর হোসেন। এই প্রাপ্তিতে আনন্দ আছে। লেখক হিসেবে মোজাফফর একেবারেই তরুণ। লেখালেখির জন্য এই প্রথম তিনি কোনো পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন। তার জন্য এটি আরো বেশি আনন্দের। এই কারণেই তাঁকে অভিনন্দন।

আমি মনে করি জুরি বোর্ডের সম্মানিত বিচারকরা ঠিক বইটিকেই পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছেন। পুরস্কৃত ‘অতীত একটি ভিন দেশ’ বইটি আমি পড়েছি। কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী সম্পাদিত সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘মাদুলি’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বইটি সম্পর্কে আমি কথাও বলেছি। গল্পকে কীভাবে গল্প করে তুলতে হয় সেটি মোজাফফরের জানা। তার লেখার হাত আছে, দেখার চোখ আছে। বইটির অন্তত চারটি গল্পের নাম করা যায়, যা সমকালীন গল্পগুলোর চেয়ে আলাদা। আলাদা বৈশিষ্ট্যের। তবে, গল্পভাষার ব্যাপারে মোজাফফরকে আরো সচেতন হতে হবে বলে মনে করি। পানির সঙ্গে ডাল যেমন মিশে যায়, গল্পের সঙ্গে ভাষা ঠিক সেভাবে মিশিয়ে ফেলতে হয়। ওই মিশিয়ে ফেলাটাই লেখকের দক্ষতা। এটা নিশ্চয়ই মোজাফফর জানেন এবং তার গল্প সম্পর্কে এই সমালোচনাটি গ্রহণ করার মতো সাহস ও যোগ্যতাও তিনি রাখেন। গল্প মানে শুধু কাহিনি নয়, ভাষাও। সাহিত্যের ইতিহাস তো ভাষার ইতিহাস। মোজাফফরের কোনো কোনো গল্প পড়তে গিয়ে হোঁচট খেতে হয়। মনে হয়, সমান্তরাল কোনো পথে নয়, সদ্যচষা মাটির চাঙড়ে ভরা কোনো জমিনে হাঁটছি। পায়ে পায়ে চাঙড় বাড়ি খাচ্ছে। এটা ভাষার দুর্বলতা। এই দুর্বলতা মোজাফফর অবশ্যই কাটিয়ে উঠবেন। ‘অবশ্যই’ বলছি এই কারণে, মোজাফফর সবসময় পাঠের মধ্যে থাকেন, দেখার মধ্যে থাকেন, লেখার মধ্যে থাকেন, চর্চার মধ্যে থাকেন। তার পূর্বজ লেখকরা কী লিখে গেছেন, সেসব তিনি ভালো করেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের ভাষা ও আঙ্গিক বোঝার চেষ্টা করেন। এই চেষ্টাটাই মোজাফফরকে শক্তিমান গল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমি আশাবাদী।

আগামী ১২ নভেম্বর মোজাফফর হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন পুরস্কার প্রদান করা হবে। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে। পুরস্কারপ্রাপ্তির পরদিন থেকে অনেক বন্ধুর পাশাপাশি সৃষ্টি হবে তার অনেক শত্রুও। সেই শত্রুরা বাইরের কেউ নয়, তারই শ্রেণীর। তারা তার অর্জনটিকে স্বীকৃতি দিতে চাইবে না। নানাভাবে তাকে বিব্রত ও বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, উৎপীড়ন করবে। এগুলো আমার অভিজ্ঞতা। আরো অনেক লেখকের অভিজ্ঞতা। তৃতীয় বিশ্বের দেশ বাংলাদেশে এটাই হয়ত লেখকদের নিয়তি। একটি অর্জনের পর লেখককে নানাভাবে বিতর্কিত করে তোলার চেষ্টা চলে, তার ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত হয়ে ওঠে একদল ছিদ্রান্বেষী। মোজাফফর নিশ্চয়ই বিব্রত হবেন না, সেই বিশ্বাস তার প্রতি আছে। নিন্দুকের নিন্দায় তিনি কান দেবেন। এক পাশে সরিয়ে তিনি তার পথেই হাঁটবেন। এবং তিনি তার লেখাজোখা বিষয়ক সকল সমালোচনা মথা পেতে নেবেন, সেই বিশ্বাসও তার প্রতি আছে।

লেখক হিসেবে মোজাফফর হোসেনের প্রতি ভালোবাসা আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। একদিন তিনি নিশ্চয়ই বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গল্পকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবেন, এই কামনা। তার জন্য নিরন্তর শুভ কামনা।

০৩.১১.২০১৭



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ নভেম্বর ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়