ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনা, কয়লা ও কাক

উৎপল দত্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ২২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনা, কয়লা ও কাক

অলঙ্করণ: মামুন হোসাইন

করোনার আতঙ্কের সঙ্গে সহাবস্থান করছে বাঙালির গুজবের আতঙ্ক। করোনার আতঙ্ক বৈশ্বিক। করোনা প্যানডমিক- একথা জানতে কারো বাকি নেই। বাঙালির ক্ষেত্রে গুজবের আতঙ্ক করোনা প্রতিরোধ ব্যাহত করতে পারে, এমন ধারণায় সবার মন করোনার মতোই আক্রান্ত। গণমাধ্যম, সামাজিকমাধ্যমসহ এর-তার কথা-বার্তা শুনলেই বিষয়টি নজরে পড়ে। সত্যি তো, এই দুর্যোগে বাঙালির স্বভাবজাত আজগুবি আচরণ, চিন্তাধারা যদি উঁকি দেয়, তবে সে তো আরেক করোনা। গুজব সব গুবলেট করে দিতে পারে। ‘যা রটে তার কিছু তো বটে’, প্রবাদও আছে। দুর্যোগে প্রবাদের বিবাদ টেনে না আনাই ভালো। গুজব নিয়ে কথার কচকচি তো নয়ই। তাতে আশঙ্কা আর সমস্যা যমজ ভাইয়ের মতো তরতর করে বাড়বে।

বাঙালি গুজব ছড়ায়। বাঙালি গুজব ছড়িয়ে আমোদ-আহ্লাদ পায়। গুজব ছড়িয়ে অন্যকে জব্দ করে বাঙালি নিজেও ফাঁসে। ফাঁদে পড়ে। এসব কথা বহুকাল ধরে প্রচলিত থেকে এখন প্রায় স্বতঃসিদ্ধ হয়ে গেছে। সংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তা মুক্তচিন্তার একমাত্র ও প্রধান প্রতিবন্ধক। চিন্তার অন্য পিঠ আছে। প্রতিচিন্তা। যারা সচেতন, তারা যদি মুক্তচিন্তা না করেন, চিন্তার উল্টো পিঠ চোখে পড়ে না।

শুধু কি বাঙালি গুজব ছড়ায়? বাঙালি একাই গুজব ভালোবাসে? ইংরেজিতে রিউমার শব্দটি বহুল প্রচলিত। সংস্কৃতি ও অভ্যাসে তারতম্য থাকতে পারে কিন্তু গুজব সর্বকালে কমবেশি, সব দেশ, জাতি-জনগোষ্ঠীতে প্রচলিত। একথার অর্থ এই নয় যে, লেখাটি গুজবকে সমর্থন করছে। দু’টি বিষয়ের ওপর একটু আলো ফেলার প্রচেষ্টা মাত্র। প্রথমটি হলো, গুজব বাঙালি একা ছড়ায় না। দ্বিতীয় ভাষ্যটি হলো, গুজব বা অতিরঞ্জিত বিষয়ের প্রচার ও প্রচারের আসক্তি সকল সমাজেই দেখা যায়। চরিত্র ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু লক্ষণরেখা টেনে দেখানো যাবে না, এখানে বা ওখানে গুজব নেই। সব তথ্য, সবকথা খাঁটি সোনা, সম্ভবত এমন দাবি কেউ করবেন না।

তথ্য বিকৃতি বা তথ্যের আংশিক উপস্থাপনও গুজবের মধ্যেই পড়ে। খ-িত বা বিকৃত তথ্য গুজবকে উসকে দেয়, গুজব ছড়ানোর অনুকূল আবহাওয়া রচনা করে। অনভিপ্রেত ঘটনা কল্পকাহিনীর সূতিকাগার। বিভ্রান্ত, বিহ্বল বা হতচকিত হলে তো কথাই নেই, গুজবের পালে জোরসে হাওয়া লাগে। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে গুজবের মরণ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু  পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতা ভিন্ন কথা বলে। গুজব করোনার মতোই চরিত্র বদল করে। দ্রুত ছড়ায়। যা আরও ভীতিকর।

‘স্বপ্নে দেখা’, ‘স্বপ্নে পাওয়া’ ধারণাগুলি চমকপ্রদ হয়, লোকমুখে তা ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। ক্রান্তিকালে ক্লান্তিহীনভাবে তা ছড়ায়। মানুষ শেষ বিচারে বাঁচতে চায়। তা সে বাঙালি, হিস্পানি, ইংরেজ, ফরাসি, জার্মান বা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান যাই হোক না কেন! গুজবের জাল ছিঁড়ে তখন সে নিজেই বেড়িয়ে পড়ে।

ট্রান্সপারেন্সি কথাটা খুবই মুখোরোচক। কার্যক্ষেত্রে তা মিহি আস্তরণে ঢাকা থাকে। প্রকৃত তথ্য তখন আড়ালে পড়ে যায়। এই সিন্ড্রোম শুধু বাঙালির নয়, বিশ্বের সকল জাতি, রাষ্ট্র্র, জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেখা যায়। উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তথ্য আড়াল করা হয়। গুজবের জন্ম হয়। অপকর্মটি শুধু বাঙালি করে না। গোয়েবলস-এর নাম নিশ্চয়ই কেউ ভুলে যায়নি। তার কূটচিন্তা কতো ভয়ানক এবং উদ্দেশ্যমূলক ছিলো তা আজ সবার জানা। গোয়েবলস-এর প্রচার ছিলো, একটি মিথ্যা দশবার প্রচার করলেই তা মানুষ সত্য বলে মেনে নেবে। মোটকথা, শ্রুতিতে বাজতে বাজতে মানুষের মস্তিষ্কে মিথ্যা কথাটি প্রোথিত হয়ে যাবে। কিন্ত মানুষ তো আর কাকাতুয়া বা টিয়াপাখি নয়। মিথ্যা প্রচার সে আজন্ম আওড়ে যাবে না। তার ওপর আস্থা রাখাই যায়। রাখতে হয়।
ফ্যাক্টস ও ট্রুথস-এর ধারণাকে সাধারণ আলোচনায় গুলিয়ে ফেলা হয়। একটি সাবজেক্টিভ অন্যটি অবজেক্টিভ। অন্যকথায় একটি ব্যক্তিমন সাপেক্ষ অন্যটি ব্যক্তিমন নিরপেক্ষ। ফ্যাক্টস অবজেক্টিভ। যা ঘটলো, যেমন করে ঘটলো ঠিক তাই। ট্রুথস সাবজেক্টিভ। ব্যক্তিমন তার সাথে সম্পৃক্ত হয়। ব্যক্তিমন ভিন্ন হওয়ায় ফ্যাক্টস বা প্রকৃত ঘটনা ব্যক্তিমনে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে ধরা পড়ে। মুক্তচিন্তায় তখন সত্য উপলব্ধি হয়। দুর্বল, বিচ্ছিন্ন, অসংবদ্ধ চিন্তায় তা অর্থহীন হয়ে পড়ে। এও এক রকম গুজব। গুজবের অন্যতম উৎস সংশয়, হতচকিত মন ও তখ্য সম্পর্কে অনবহতি। প্রকৃত তথ্য পেলে গুজব রটলেও তা হালে পানি পায় না। ফ্যাক্টস বা প্রকৃত তথ্যপ্রবাহ তাই গুজব নিরসনের অন্যতম দাওয়াই হতে পারে।

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ। এও বলেছেন, ‘...রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করোনি’। দ্বিতীয় কথাটির প্রচলন আগেরটির তুলনায় বেশি। সংকট কালে ইতিবাচক দিকটিই দেখতে হয়। তাই ‘...রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি’ না আউড়ে ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ’ কথাটি জপতপ করলে ভালো ফল আসতে পারে। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পা থেকে মাথা পর্যন্ত তো বাঙালিই ছিলেন। বাঙালি আর গুজবকে সমার্থক করে করোনার থাবার মুখে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সমাজের স্পষ্টবাদী, সচেতন মানুষ যদি বুঝতে পারেন গুজবের আশঙ্কা আছে তাহলে তা কী করে প্রকৃত তথ্য দিয়ে নিরোধ করা যায় সেই চেষ্টা করা ভালো। তাতে সামাজিক দায়িত্ব পালন করা হয়। গুজব নিয়ে কচকচি করলে গুজব নিরোধ সম্ভব নয়।

গুজব সত্যকে অস্পষ্ট ও অনিশ্চিত করে। ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। তর্ক-বিতর্ক ও বিবাদ উসকে দেয়। গুজবে মজা আছে কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা কোনো কাজে তো লাগেই না, উপরন্তু লক্ষচ্যূত করে। আইরিশ লেখক, নাট্যকার বানার্ড শ’র কথাটি অনুধাবনযোগ্য: ‘No one gossips about other people's secret virtues.’ কেউ আপনার গোপন গুণ নিয়ে গুজব রটাবে না। আসল কথাটি কিন্তু শ’ আড়ালে রেখেছেন। গুণ নয়, গোপন চ্যুতি-বিচ্যুতি নিয়ে কেচ্ছা-কাহন রটানোর আশঙ্কাই বেশি। বলে রাখা ভালো, ইংরেজিতে গসিপ ও রিউমার প্রায়ই সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

একটি জনপ্রিয় আইরিশ প্রবাদ আছে। যে আপনাকে গুজব শোনাচ্ছে, সে আপনার সম্পর্কেও গুজব রটাবে। গুজব আছে পুরাণেও। রোমান ও গ্রিকদের গুজবের দেবী আছে। গুজবের ধারণাকে  ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত করে এই দেবীর অধিষ্ঠান। নাম ফিম অথবা ফামা। গ্রিক নাম ফিম। রোমান নাম ফামা। গ্রিক ফিমকে দেখা যায়, ট্রাম্পেট বাজিয়ে ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে। তার মুখে রাজ্যের আকথা-কুকথার ফেনা। রোমান ফামা আরও বিরক্তিকর। তার অনেকগুলি চোখ। একাধিক জিহ্বা। একাধিক জিহ্বা তো লাগবেই। এক কথাকে পঞ্চমুখী করতে হবে না! ফামার গা ভর্তি পাখনা-পালক। ভালো-মন্দ সবকথা গুলিয়ে সে বাজখাাঁই গলায় বাতাসে ছড়িয়ে দেয়। ইংরেজি ফেম বা ডিফেম শব্দের সঙ্গে গ্রিক ও রোমান গুজবী দেবীর খুব মিল পাওয়া যায়।

গুলগল্প সব সমাজেই আছে। অনেকটা বিনোদনের মতো। মুখোরোচক কথা কে না বলে! এসবই মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ-উপাদান। একঘেঁয়েমি, কøান্তিকর জীবনের অবসাদ দূর করতে সবাই এর আশ্রয় নেয়। জীবনের গতি-¯্রােত বহুমুখী ও বিচিত্র। গুজবের জন্ম কখনও এভাবেও হয়। অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অর্ধশিক্ষা, সংস্কার, অতি সংবেদনশীলতা শুধু গুজবের জন্ম দেয় না। সমগ্র জাতি যখন দুর্বিপাকে, সমগ্র বিশ্ব যখন করোনার থাবা সামলাতে ব্যস্ত, পরিত্রাহী চিৎকার করছে। মানবতা যখন বিপন্ন, তখন শুধু বাঙালি গুজব ছড়াবে, গুলগল্পের আসর জমাবে, এরকম মনে করার কোনো কারণ নেই। আশঙ্কা নয়, উল্টো আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

উন্নত দেশগুলির পর্যাপ্ত সম্পদ ও অবকাঠামোগত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আকস্মিক করোনা-হামলার মুখে তারা হতচকিত। পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারছে না। বাঙালির না আছে সম্পদ, না আছে পরিকাঠামো। কিন্তু আরেকটি অনন্য উপাদান আছে তার চরিত্রে। হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়ে বেসামাল পরিস্থিতি তারা রুখে দিতে পারে। ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা সেকথাই বলে।
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ বাঙালি প্রাণ দিয়েছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। রোগ-শোক-বালাই নিয়ে তার নিত্য বসতি। ভূমিকম্প, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, টর্র্নেডোর সাথে যুদ্ধ করে তারা বেঁচে আছে। বিশ্বের কাছে চোখ-ওল্টানো নজিরও সৃষ্টি করেছে।
দুর্যোগ-দুর্বিপাক ও ক্রান্তিকালে বাঙালি এক হয়ে যায়। গুজবের চিহ্ন থাকে না তখন। বাঙালির হৃদয়বৃত্তি জাতির দুঃসময়েই অপ্রতিরোধ্য ¯্রােতের মতো বেরিয়ে আসে।

শুধু লটরপটর গুজবের জাতি হলে বাঙালির টিকে থাকারই কথা ছিলো না। বাঙালি শুধু টিকে নয়, অনেক অক্সিজেন বুকে ধরে বেঁচে আছে। বাঙালি হাসতে ভালোবাসে। তার রসবোধ আছে। তার গুজবও রসবোধে ভরা। একটি লোকায়ত রসময় গল্প আছে। গল্পটি নতুন নয়, সবার জানা থাকার কথা: গৌর বর্ণের রাজা। রাজার গায়ের রং তো বকের মতো ফর্সা হবে। রাজা বলে কথা, কালো-কুৎসিত হবে কেন! সেই রাজা গেলেন প্রজা দেখতে। প্রজারা কী খায়, কেমন করে বাঁচে। রাজ্যে সুখ আছে কী নেই। কারণ গতরাত্রে তিনি দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন। পরদিন সকালে নিজেই বেরিয়ে পড়লেন স্বচক্ষে দেখতে। ছদ্মবেশী হলেন। মাথায় মুকুট নেই। গায়ে জামা নেই। শুধু নি¤œাঙ্গে যতটা বস্ত্র হলে চলে তাই পরিধান করে বেরিয়ে পড়লেন। চৈত্রমাসের রোদের কামড় কম কথা নয়। রাজার পিঠে তা সইল না। গায়ের রং গেল কালো হয়ে। মন্ত্রী দাওয়াই খুঁজতে কবিরাজ ডাকলেন। বদ্যি ডাকলেন। কথাটা গেল চাউর হয়ে। জনে জনে, বহুজনে জানলো, রাজার গায়ের রং গত রাতে কালো হয়ে গেছে। কেমন কালো! কয়লার মতো। লোকমুখে ভেসে ভেসে কথাটা দাঁড়ালো- রাজার গায়ে রাজ্যের সমস্ত কাক বসে আছে। একটা সরষে ফেলারও জায়গা নেই!

কথা বদলায়। মুখ বদল হলেই কথা একটু হলেও বদলায়। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো, যে কোনো কথাকেই সে তার মতো একটু রং মিশিয়ে বলবে। অবচেতন মনে ঘটনাটা ঘটে যায়। তাই কালো হয়ে যায় কয়লা। কয়লা থেকে রাজ্যের কাক। বাঙালির সরস গল্পের মধ্যে কেউ মেসেজ খুঁজলে তা পেতেও পারেন।

গুজবকে উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণার মধ্যে ফেলা যায় না। ইংরেজিতে তার প্রতিশব্দ প্রোপগান্ডা। রিউমার নয়। বাঙালির রিউমারে হিউমার আছে, মেসেজও আছে। রিউমার, গুজব বা তথ্য-বিভ্রান্তি যাতে না ঘটে তার জন্য করোনা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে, ওয়ালর্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, এনএইচএস ১১১, সিডিসি, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন, যুক্তরাষ্ট্র, হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিবিসি-র ওপর নির্ভর করছে সারা দুনিয়া। রিউমার বা গুজব এড়ানোর জন্যই সচেতন মানুষ তা করছে। হতচকিত সব দেশ, সব জাতি। বাঙালির তো আরও হতচকিত হওয়ার কথা। গুজব ছড়াতেই পারে। সবাই জানেও সেকথা। যদি তাই হয়, তবে গুজবের প্রবাহ বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াই শ্রেয়। গুজব নিয়ে বাড়তি আশঙ্কা অর্থহীন। সচেতনতা ও সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

আর শেষ মুহূর্তে বাঙালি যে গুজব ছেড়ে আসল ‘জব’টি সম্পন্ন করে তার প্রমাণ ইতিহাস ও অভিজ্ঞতায় আছে। একথা আগেই এ লেখায় বলা হয়েছে। ফলে গুজবের আশঙ্কা নয়, বাঙালির ওপর বিশ্বাস রাখা যায়। বাঙালিও বিশ্বাসে উদ্বুদ্ধ হয়। বাঙালির উদ্বোধন প্রয়োজন। তাহলে করোনার কণ্ঠনালি চেপে ধরা সহজ হতে পারে।


 
ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়