বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে জিরাফের বাচ্চা প্রসব
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে জিরাফ শাবকের জন্ম হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে বাচ্চাটি জন্ম নেয়। পার্কের নির্ধারিত এলাকায় বাচ্চাটি তার মায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশে জিরাফের বাচ্চা দেওয়া বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
পার্কে কর্মরত ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, সাউথ আফ্রিকা থেকে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সাফারি পার্কে ১০টি জিরাফ আনা হয়। সম্প্রতি দুটি জিরাফ অসুস্থ হয়ে মারা যায়। বর্তমানে আটটি জিরাফ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পুরুষ ও পাঁচটি মাদি। জন্ম নেওয়া এই নতুন অতিথি নিয়ে এখন পার্কে জিরাফের সংখ্যা নয়টি। জন্ম নেওয়া বাচ্চাটির ওজন আনুমানিক ৫০-৫৫ কেজি, উচ্চতা ৫-৬ ফুটের মতো।
তিনি জানান, জন্মের পর তার মা জিরাফই বাচ্চাটির সেবা শশ্রুষা করে দাঁড় করিয়ে তোলে। এখন সেটি মায়ের সঙ্গে পার্কে ছুটে বেড়াচ্ছে। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পর মা জিরাফটি বাচ্চাকে নিয়ে অন্যদের থেকে আলাদাস্থানে অবস্থান নিয়েছে। অন্তত সাত দিন মা জিরাফটি বাচ্চা নিয়ে সেখানে থাকবে। এই সময় অন্য কোনো জিরাফকে তার কাছে ভিড়তে দেয় না মা জিরাফ। শাবকটি এখন মায়ের দুধ পান করছে। প্রায় এক বছর পর্যন্ত এরা মায়ের দুধ পান করে থাকে। নিদিষ্ট সময় পার হলে এবং ফিজিক্যাল অবজারভেশনের পর যখন দেখা যাবে তার অন্য খাবারের প্রতি চাহিদা, তখন সেই খাবার দেওয়া হবে। বর্তমানে মা জিরাফটিকে সবুজ ঘাস, গাজর, ছোলা, তেঁতুল পাতা, কামরাঙ্গা পাতা, আমলকি গাছের পাতা ইত্যাদি খেতে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পার্কে কর্মরত ওয়াইল্ড লাইফ লোকজন সব সময় মা ও শাবককে বিশেষ নজরে রাখছেন।
তিনি জানান, মাদি জিরাফ সাড়ে তিন থেকে চার বছর এবং পুরুষ জিরাফ চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। জিরাফের গর্ভকালীন সময় ৪৩০ থেকে ৪৫০ দিন (প্রায় ১৫ মাস)। পার্কের এই মা জিরাফটি ৪৪০ দিনে বাচ্চা প্রসব করেছে। জিরাফ আবদ্ধ পরিবেশে ২৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এখানে তাদের চিকিৎসাসহ পরিচর্যা করা হয়। প্রাকৃতিক পরিবেশে এরা এর চেয়ে কম বাঁচে।
রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৫ জুন ২০১৭/হাসমত আলী/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন