‘রাস্তা খারাপ, হেঁটে পার হচ্ছি’
বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রুমা উপজেলার সড়ক পথের দলিয়ানপাড়া এলাকায় গত রোববার পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা গৌতম নন্দী নিখোঁজের একটু আগে স্ত্রীকে ফোন করে বলেন, “রাস্তা খারাপ, হেঁটে পার হচ্ছি, পৌঁছে ফোন করব’’। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন গৌতম নন্দীর শ্যালক দিগন্ত নন্দী।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রুমার কর্মস্থালে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে নেমে তিনি দিদিকে (মৌসুমী নন্দীকে) ফোন করেন, এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি। ঘটনার পর রুমা কৃষি ব্যাংক থেকে ফোন পেয়ে গৌতমের সন্তান তূর্য নন্দী ও তিনি বান্দরবানের ঘটনাস্থলে আসেন, এরপর থেকে তারা ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে গৌতমের সন্ধানে পাহাড়ি এলাকায় দিন পার করছেন। যদি লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।
দিগন্ত নন্দী বলেন, চট্টগ্রামের জামাল খান এলাকায় গৌতম নন্দীর পরিবার বাস করেন। তার দুই সন্তান। ছেলে তূর্য নন্দী ইউএসটিসিতে এবং মেয়ে তুষি নন্দী খাস্তগির স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ে। গৌতমের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, “জীবিত আছে সেই আশা ছেড়ে দিয়েছি, আমরা এখন লাশটা চায়”।
মঙ্গলবার দুপুরে গৌতম নন্দীর ব্যাগ পেয়েছেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস ও সেনা সদস্যরা। ঘটনার পর গৌতম নন্দী ছাড়াও মেসিং মারমা (১৫), রুমা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার রবিউল ইসলাম নিখোঁজ রয়েছেন।
ঘটনার পর দমকল বাহিনীর সদস্য, সেনা সদস্য ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালালেও ঘটনাস্থলে ফের পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা।
প্রবল বর্ষণের মধ্যে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে। এতে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বান্দরবান থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস রুমা যাওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে দলিয়ানপাড়া এলাকায় পৌঁছলে পাহাড় ধসে পড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। ওই বাসে ১২ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে পাহাড় ধসের জায়গা হেঁটে পার হচ্ছিলেন। প্রথমে চার/পাঁচজন পার হয়ে যান। পরে নয়জন পার হওয়ার সময় তাদের উপর পাহাড় ধসে পড়ে।
রাইজিংবিডি/বান্দরবান/২৫ জুলাই ২০১৭/এস বাসু দাশ/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন