ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদকে সামনে রেখে মশলার বাজারে উত্তাপ

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২২ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঈদকে সামনে রেখে মশলার বাজারে উত্তাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজারে মশলার দাম বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। সব ধরনের মশলা রীতিমত ক্রেতাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে।

বাজারে সরবরাহের ঘাটতি না থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু বিক্রেতা কৌশলে বিভিন্ন মশলার দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, রিয়াজ উদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে মশলার বাজারের উত্তাপ বেশ ভালোভাবেই টের পাওয়া গেছে।

বাজার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে মশলার আমদানি মুল্য কেজি প্রতি এক হাজার টাকার কম, সেই মশলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। বিশেষ করে এলাচ, জিরা, জয়ত্রি, জয়ফল, লবঙ্গ পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে আমদানি মুল্যের চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেশি দামে।

জানা গেছে, মাংসের মশলার প্রধান উপকরণ এলাচের আমদানি মূল্য প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা। পাইকারি বাজারে এই এলাচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০০ টাকা দামে। খুচরা বাজারে ২৩০০ টাকায়। একইভাবে জয়ত্রির আমদানি মূল্য প্রতিকেজি ৩২৮ টাকা। পাইকারি বাজারে এর মূল্য ২২০০ টাকা ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪০০ টাকায়। জিরার আমদানি মূল্য ২৪৪ টাকা। পাইকারি বাজারে বিক্রি ৩০০ থেকে ৩৭০ টাকায় ও খুচরা বাজারে ৪০০-৪৩০ টাকা।

দারুচিনি আমদানি মূল্য ১৩২ টাকা কেজি। পাইকারি মূল্য বিক্রি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং ও খুচরা বাজারে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকায়। জয়ফলের পাইকারি মূল্য ৪৩০-৪৬০ টাকা কেজি। যা খুচরা মুল্যে ৫০০-৫২০ টাকায়। লবঙ্গর আমদানি মূল্য ৪০৪ টাকা। পাইকরি বাজারে এই লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা ও খুচরা বাজারে ৮২০-৮৫০ টাকা।

আমদানিকৃত মশলার পাশাপাশি বাজারে বেড়ে গেছে দেশীয় হলুদ মরিচ, আদা রসুনসহ অন্যান্য মশলার দামও। দুই মাস আগেও যে মরিচ প্রতি কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই মরিচ এখন পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।  হলুদের আমদানি মূল্য ৮৭ টাকা হলেও খুচরা মূল্য ১২০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজারের খুচরা মশলা বিক্রেতা জানে আলম রাইজিংবিডিকে জানান, পাইকারী বাজারে অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়া খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন মশলার দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে এই খুচরা ব্যবসায়ী জানান, কতিপয় ব্যবসায়ী সংঘবদ্ধ হয়ে মশলার মুল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে খুচরা বিক্রেতাদের কিছুই করার থাকে না।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী জামাল চৌধূরী রাইজিংবিডিকে জানান, বাজেট ঘোষণার পরই মশলার দাম পাইকারী বাজারে বেড়ে গেছে। আমদানি মুল্যের চেয়ে বিক্রিত মুল্যের কয়েকগুণ পার্থক্য থাকার কথা স্বীকার করে এই ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকহাত ঘুরে নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে মশলার দাম বেড়ে যাচ্ছে।


রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২২ জুলাই ২০১৯/রেজাউল/লাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়