ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রিফাত হত্যা মামলায় চার্জশিট ২২ আগস্ট 

রুদ্র রুহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ১৪ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রিফাত হত্যা মামলায় চার্জশিট ২২ আগস্ট 

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আগামী ২২ আগস্ট আসামিদের হাজির করার ও পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালত ২২ আগস্ট আসামিদের হাজিরা ও পুলিশ প্রতিবেদনের তারিখ ধার্য করেন।  

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রতিবেদন তৈরি করতে না পারায় বুধবার (১৪ আগস্ট, ২০১৯) তিনি আদালতে তা দাখিল করতে পারেননি। তবে পরবর্তী তারিখ ২২ আগস্ট দাখিল করতে পারবেন বলে জানান। 

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল বারী আসলাম জানিয়েছেন, আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিলো বুধবার। রিফাত হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করলে ও বিচারক তা গ্রহণ করলে সেটিই চার্জশিট হিসেবে গন্য হবে। 

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হচ্ছেন রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, চন্দন সরকার, রাব্বি আকন, হাসান, অলি, টিকটক হৃদয়, সাগর, কামরুল ইসলাম সাইমুন, আরিয়ান শ্রাবন, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, তানভীর, নাজমুল হাসান, রাতুল সিকদার ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। 

মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মুসা বন্ড, সাত নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, আট নম্বর আসামি রায়হান ও ১০ নম্বর আসামি রিফাত হাওলাদারকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। 

যশোরে শিশু-কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে থাকায় রাতুল সিকদারকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেছে।

মামলার প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গত ১৬ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। তার দুদিন পরে মিন্নিকে আদালতে হাজির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। 

গত ৩১ জুলাই সেই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের জন্য মিন্নি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে আবেদন করেন। বিচারক তার আবেদন গ্রহণ করে নথিভূক্ত করেন।

মিন্নিকে গ্রেপ্তারের পর বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেছিলেন, রিফাত হত্যার পরিকল্পনার সাথে মিন্নি জড়িত। পরবর্তী সময়ে বলেছেন, হত্যাকারী অনেকের সাথে মিন্নির আগে ও পরে কথা হয়েছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিন্নির নাম চার্জশিটে যুক্ত হবে, এটা অনেকটা নিশ্চিত।

 

রাইজিংবিডি/বরগুনা/১৪ আগস্ট/রুদ্র রুহান/এনএ/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়