সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

অবশেষে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গুমনতলি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মুহিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রাক্তন সংসদ সদস্য একে ফজলুল হক সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুর্যোগ প্রশমন দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পরপর দুই বার ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থলে বেগম খালেদা জিয়া’বলে সম্বোধন করে তোপের মুখে পড়েন। এ সময় উপস্থিত সুধি, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের ধাওয়ার মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা চেয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

সরকার ওই মাদ্রাসায় ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দুর্যোগ প্রশমন ভবন তৈরি করে। দুর্যোগ প্রশমন দিবসে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে এসব ভবন উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে শ্যামনগর গুমনতলির এই মাদ্রাসার নতুন ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন সংসদ সদস্য একে ফজলুল হক। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, ওসি আনিসুর রহমান মোল্লাাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল মুহিদ। তিনি বক্তব্য দিতে উঠেই ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ পরপর দুইবার উচ্চারণ করে সম্বোধন করেন। মুহূর্তেই উপস্থিত সুধীবৃন্দের মধ্যে প্রবল প্রতিবাদ ওঠে। তারা মারমুখী হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তিনি ক্ষমা চেয়ে ভবন ছেড়ে পালিয়ে যান।

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সদস্য এসএম জগলুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



সাতক্ষীরা/শাহীন গোলদার/টিপু