ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নুহাশ পল্লীতে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ১৩ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নুহাশ পল্লীতে ভিড়

এমনিতেই নুহাশ পল্লী অনেকের কাছেই আকর্ষনের। আজ হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন হওয়ায় ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের পদচারণায় মুখর নুহাশ পল্লী।

আজ এই নন্দিত কথাসাহিত্যিকের ৭১তম জন্মদিন। ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় নানা আয়োজনে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালীস্থ নুহাশ পল্লীতে উদযাপিত হচ্ছে দিনটি।

বুধবার প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীতে ৭শ’৭১টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। সকালে হুমায়ুন আহমেদের কবরে অর্পণ করা হয় পুষ্পস্তবক। স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তাদের দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় এখানে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।

কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদ তার মা’র স্বপ্ন পূরণের জন্য কিশোরগঞ্জের কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে একটি মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই স্কুলটির নাম শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠা করা শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠটি ২০১৯ সালে নিন্ম মাধ্যমিক পর্যন্ত এমপিওভূক্ত হয়েছে। এর জন্য তিনিসহ পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘এটি হুমায়ূন আহমেদের পরিবার ও ভক্তদের জন্য সবচেয়ে বড় আনন্দের খবর। হুমায়ূন আহমেদের এ স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে।’

এক প্রশ্নে শাওন বলেন, ‘ক্যান্সার হাসপাতাল অনেক বড় একটা ব্যাপার। আমি করতে চাই। আমি দুর্ভাগ্যবান যে আমি একা এত বড় দায়িত্ব নিতে পারছি না। একটু একটু করে আগানোর চেষ্টা করছি। ক্যান্সার হাসপাতালটা আসলে আমার একার পক্ষে সম্ভব না। তারপরও চেষ্টা করে যাব বড় বড় মানুষগুলোর কাছে। ক্যান্সার হাসপাতাল হচ্ছেনা, এটা কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে নয়। এর উদ্যোগটা নিলে অবশ্যই একটু একটু করে হলেও অর্থের সংকুলান হয়ে যাবে এটা আমি বিশ্বাস করি। উদ্যোগ নেয়াটাই বড় ব্যাপার। যেটা আমি একা নিতে পারছি না। হুমায়ূন আহমেদ যেই ক্যান্সার হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন সে স্বপ্নটা অনেক বড়। পরিবারের সবাইকে একমত হয়ে এটা শুরু করতে হবে, উদ্যোগটা নিতে হবে ‘

স্মৃতি জাদুঘর সম্পর্কে শাওন বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর নুহাশ পল্লীতেই হবে। জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি ডিজাইনও করা হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সম্মতির অপেক্ষায় আছি। পরিবারের সবাইকে জানিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই সম্মতি পাব এবং হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি জাদুঘর ইনশাল্লাহ শুরু হবে।’

পরে নুহাশ পল্লীর হোয়াইট হাউজ ও হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে ছেলেদের নিয়ে মেহের আফরোজ শাওন কেক কাটেন। এসব কর্মসূচিতে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তবৃন্দ এবং নূহাশ পল্লীর কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নুহাশপল্লীর বৃষ্টিবিলাসে ভাস্কর আসাদুজ্জামান খানের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চতুর্থ একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী হয়। এতে বিভিন্ন গাছের শেকড় দিয়ে তৈরি ৭১ টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ভাস্কর আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘স্যার একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আজ স্যারের ৭১ তম জন্মবার্ষিকী। তাই গাছের শেকড় দিয়ে তৈরি ৭১টি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্য দিয়ে এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

এদিকে সকালে থেকেই হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশ পল্লীতে আসতে দেখা গেছে। তারা হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন এবং ঘুরে ঘুরে নূহাশ পল্লী দেখছেন।


গাজীপুর/ হাসমত আলী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়