ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজশাহীর দর্জিরা ২০ দিন পর কাজে ফিরলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ২১ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীর দর্জিরা ২০ দিন পর কাজে ফিরলেন

টানা ২০ দিন কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছেন রাজশাহী মহানগরীর দর্জিরা। শ্রম দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আজ বৃহস্পতিবার থেকে তারা কাজে বসেন। সকাল থেকে নগরীর দর্জির দোকানে আবার কর্মব্যস্ততা ফিরেছে।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ১ নভেম্বর থেকে দর্জি শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান। দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, দর্জি দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে তাদের চুক্তি রয়েছে। চুক্তি মোতাবেক প্রতি দুই বছর পর পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির কথা। কিন্তু দোকান মালিকরা মজুরি বৃদ্ধি করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের ২৩০ জন একযোগে কাজ বন্ধ করে দেন।

বিষয়টি বিভাগীয় শ্রম দপ্তর পর্যন্ত গড়ায়। বুধবার সেখানে দর্জি দোকান মালিক সমিতি, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রম দপ্তরের ত্রিপক্ষীয় সভা হয়। সভয় দর্জিরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান। মালিকরা পাঁচ দিন সময় চান।

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান এই সময় দেন। পাঁচ দিন পর ২৫ নভেম্বর এই বিষয়ে দুইপক্ষের নতুন চুক্তি করা হবে বলে মিজানুর রহমান জানিয়ে দেন। আর এই সময় দর্জিদেরও কাজে বসার নির্দেশনা দেন সহকারী পরিচালক। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দর্জিরা কাজ করছেন।

শ্রম দপ্তরে ওই সভায় দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্যান্ট প্রতি মজুরি ৩০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৯৮ টাকা, শার্ট প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১২৩ টাকা, স্যুট প্রতি ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ৮৫০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৫০ টাকা এবং সাফারী ও ওয়েস কোটে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ৩৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের এই প্রস্তাবনায় সম্মত হয়ে মালিকপক্ষকে চুক্তি করার কথা বলা হয়। তারা সময় নিয়েছেন। নির্ধারিত দিনে চুক্তি করার জন্য উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে। চুক্তির মেয়াদ হবে তিন বছর। মালিকপক্ষ চুক্তিতে না এলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

এ বিষয়ে দর্জি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী রসুল বলেন, শ্রম দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক তারা দোকানে গিয়ে কাজে বসেছেন। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি করা হলে তারা ২৫ নভেম্বর চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। কাজও করবেন। তা না হলে আবার কর্মবিরতিতে যাবেন।

দর্জি দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন কথা বলতে পারবেন না। পরে কথা বলবেন।


রাজশাহী/তানজিমুল হক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়