ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ডিসেম্বরে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ২২ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ডিসেম্বরে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে’

আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিশ্ব টেলিভিশন দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এই তথ্য জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র, টিভি জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন চিটাগাং ও চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র আগামী মাস থেকে ১২ ঘণ্টা সম্প্রচারে যাবে। বর্তমানে বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র শুধু ক্যাবল টেলিভিশন হিসেবে সারা দেশে ও বিদেশে দেখা যায়। কিন্তু আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটিকে টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল হিসেবে উন্নীত করা হবে। ইতিমধ্যে যন্ত্রপাতি কেনার টেন্ডার হয়ে গেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিটিভি ঢাকা কেন্দ্রের মতো বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেল হিসেবে সারা দেশে দেখা যাবে।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সম্প্রচার ৬ ঘণ্টা থেকে ৩ ঘণ্টা বাড়িয়ে ৯ ঘণ্টা করার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

গোলটেবিল বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট মাধ্যমের সাংবাদিকদের মতো টিভি সাংবাদিকদেরও চাকরিতে আইনি সুরক্ষা দেয়া প্রয়োজন। টেলিভিশনে চাকরিরতদের বেশিরভাগই মেধাবী। যারা ওয়েজবোর্ডের মাধ্যমে প্রিন্ট মাধ্যমে কাজ করেন, তাদের জন্য আইনি সুরক্ষা আছে। কিন্তু টেলিভিশনের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা এখনো পর্যন্ত নেই। সেটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘সম্প্রচার নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্প্রচার আইনও পাস হবে। সেটি হলে সম্প্রচার মাধ্যমের সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে। তারপরও আমরা চিন্তা করছি, সম্প্রচার নীতিমালা যেহেতু বিদ্যমান আছে, এই নীতিমালার আলোকে কীভাবে আইনি সুরক্ষা দেয়া যায়, সেটি নিয়েও আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি।’’

মন্ত্রী বলেন, ‘‘শিশু-কিশোরসহ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর টেলিভিশনের প্রভাব ব্যাপক। যে মাধ্যমের এত বড় প্রভাব, সেটিকে আমরা জাতিগঠনের বিশাল কাজে লাগাতে পারি। আমাদের নতুন প্রজন্মের মনন তৈরি এবং একই সঙ্গে ভবিষ্যতের স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছানোর জন্য যেমন মেধা, মূল্যবোধ ও দেশাত্মবোধসম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরির সক্ষমতা আমাদের টেলিভিশনের রয়েছে।’’

টেলিভিশন যেন ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ী স্বার্থে ব্যবহার না হয়, সেই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান অনুপম শীলের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ মহাপরিচালক (বার্তা) অনুপ কুমার খাস্তগীর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, একুশে পত্রিকা সম্পাদক আজাদ তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


চট্টগ্রাম/রেজাউল করিম/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়