ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘আল্লাহ আমার হায়াত যেন প্রধানমন্ত্রীকে দেন’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আল্লাহ আমার হায়াত যেন প্রধানমন্ত্রীকে দেন’

দুর্যোগসহনীয় বাড়ি পেয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ২০টি গৃহহীন পরিবার। এজন‌্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও তার জন‌্য দোয়া করেছেন এসব পরিবারের সদস‌্যরা।

যারা নতুন বাড়ি পেয়েছেন তাদের মধ‌্যে আছেন তাড়াশ উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের বৃদ্ধা মোমেনা খাতুন। তিনি বলেছেন, আমার ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাড়ি করে দিয়েছেন। একমাত্র তিনিই বোঝেন গরিবের কষ্ট। আল্লাহ আমার হায়াত যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেন।

জানা গেছে, দুর্যোগসহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ২০টি গৃহহীন পরিবারকে নতুন বাড়ি দেয়া হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এর তদারকি করেন তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুর মামুন।

তাড়াশ শহরের শামচুল ইসলাম মধু বলেন, এত সুন্দর, মনোরম দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমাদের থাকার মতো ঘর ছিল না। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে থাকতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় এই ঘর পেয়েছি।

তাড়াশ উপজেলার আট ইউনিয়নের যেসব ব‌্যক্তি নতুন বাড়ি পেয়েছেন তারা হলেন- তালম ইউনিয়নের শাহা আলী, তারটিয়া গ্রামের দীপক চন্দ্র, বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের রূপভান খাতুন, সরাবাড়ি গ্রামের রাবিয়া খাতুন, সগুনা ইউনিয়নের মাকড়শোন গ্রামের নাছের উদ্দিন, কুন্দইল গ্রামের দারজিস প্রাং, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর নদীপাড়ার আবু শামা ও রুহুল আমিন, নওগাঁ ইউনিয়নের কালিদাসনীলি গ্রামের রেহানা খাতুন ও রুমি খাতুন, তাড়াশ সদর ইউনিয়নের তাড়াশ গ্রামের শামচুল ইসলাম মধু, দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের মোমেনা খাতুন, চকগুপিনাথপুর গ্রামের রোয়াদান খাতুন, সোলাপাড়া গ্রামের সাজেদা খাতুন, মাধাইনগর ইউনিয়নের উত্তর মথুরাপুর গ্রামের ফজলার রহমান ফজল, পৌষার গ্রামের বুলবুলি রানী রায়,দেশীগ্রাম ইউনিয়নের ধলাপাড়া গ্রামের সাগর কুমার বসাক, গুড়পিপুল গ্রামের বাসু চন্দ্র ওবাঁও, ধলাপাড়া গ্রামের ভুবেন্দ্রনাথ বসাক ও কর্নঘোষ গ্রামের মোজাহার আলী।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. নুর মামুন জানান, সঠিক তদারকির মাধ্যমে বাসগৃহগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। যারা ঘর পেয়েছেন তারা খুবই খুশি হয়েছেন।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে টিআর ও কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। বাড়িগুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে করা হয়েছে। এ উদ‌্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন‌্য তারা দোয়া করেছেন।


সিরাজগঞ্জ/অদিত্য রাসেল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়