ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিলো মিয়ানমার

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিলো মিয়ানমার

‘‘ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রলার মিয়ানমার জলসীমানায় ঢুকে পড়ে। এ সময় দেশটির নৌবাহিনী আমাদের আটক করে। পরে সরকারের প্রচেষ্টায় ফেরত এসেছি। সরকার প্রধানসহ কোস্ট গার্ডকে ধন্যবাদ।’’

শুক্রবার রাতে কোস্টগার্ডকে হস্তান্তরের পর টেকনাফ ফেরার পথে এফবি গোলতাজ-৪ ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক এ সব কথা বলেন।

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমানায় ঢুকে পড়ার পর গত ৪ ডিসেম্বর ১৭ বাংলাদেশি জেলে ও ফিশিং ট্রলার আটক করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করে মিয়ানমার।

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমার শূণ্য রেখায় কোস্ট গার্ডের তাজউদ্দিন জাহাজে বাংলাদেশি জেলেদের হস্তান্তর সম্পন্ন হয়। এ সময় মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৩ জন ভোলার, দুই জন চট্টগ্রামের, একজন ঝালকাঠির ও একজন মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসী।

ফেরত আসা জেলেরা হলেন- ভোলার কুলাকুপা এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. আল আমিন; একই জেলার চরকলিপা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম; উত্তর মাদ্রিস এলাকার নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মো. জসীম; জয়নাল আবেদীনের ছেলে নুরুল ইসলাম; মকবুল আহাম্মদের ছেলে মো. নাছের; পশ্চিম এওয়াজপুর এলাকার মৃত খোরশেদ আলম সওদাগরের ছেলে মো. কামাল সওদাগর; নুরাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ ব্যাপারীর ছেলে আবুল কালাম; নীলকমল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোসেন; মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মো. মোতাহার; চুন্নাবাদ এলাকার মো. মিলনের ছেলে জাকির হোসেন; কন্দকার বারী এলাকার আবি আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম; স্যার নুরুল আমিন ইউনিয়নের নজির আহাম্মদের ছেলে মো. ফারুক; এবারেক চকিদারের ছেলে মো. সেলিম; চট্টগ্রামের লাওর বিল এলাকার মৃত আব্দু জলিলের ছেলে মো. শাহ আলম; মৃত সোলাইমানের ছেলে মো. জসীম; মুন্সিগঞ্জের চাষি বারীগঞ্জ এলাকার মৃত তাহের আলী দেওয়ানের ছেলে আবু সৈয়দ ও ঝালকাঠির শওকতগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নুরুজ্জামান।

হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে রাতে জাহাজে প্রেস ব্রিফিং করেন তাজউদ্দিন জাহাজের প্রধান কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে ১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাথিডং উপকূলের মাইও নদীর মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় দেশটির নৌবাহিনী ১৭ জেলে ও এফবি গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯) নামে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার সাগরে ভাসমান অবস্থায় আটক করে। পরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।

কোস্ট গার্ড জানায়, আশরাফ হোসেন মাসুদের মালিকানাধীন ওই ফিশিং ট্রলারটি গত ২৯ নভেম্বর মাছ ধরার উদ্দেশে চট্টগ্রাম চাক্তাই হতে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করে। গত ৩০ নভেম্বর ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। চার দিন সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে ফিশিং বোটটি মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ে।

টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সোহেল রানা বলেন, ফেরত আসা ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে টেকনাফ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।

**


কক্সবাজার/সুজাউদ্দিন/নূর/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়