ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে নিহত হয়েছিল মিত্র বাহিনীর ১২৭ সেনা

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৮ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মৌলভীবাজারে নিহত হয়েছিল মিত্র বাহিনীর ১২৭ সেনা

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মৌলভীবাজারের যুদ্ধ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ভয়ঙ্কর। একদিকে পাকহানাদার অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী।

আক্রমন-পাল্টা আক্রমন চলতে থাকে দুই পক্ষে। এ পরিস্থিতিতে ২ ডিসেম্বর রাতে মৌলভীবাজারের পূর্ব সীমান্তের কাছাকাছি শমসেরনগর বিমানবন্দর ও চাতলাপুর বিওপিতে পাক হানাদারদের অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণ শুরু হয়। তীব্র আক্রমণের মুখে পাক সেনারা শমশেরনগরে টিকতে না পেরে মৌলভীবাজার শহরে ফিরে আসে।

মৌলভীবাজারে ছিল পাক সেনাদের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী মৌলভীবাজার দখলের উদ্দেশ্যে ৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে কালেঙ্গা পাহাড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে বড়টিলা নামক জায়গায় পাক বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ হয়। কিন্তু বড় মূল্য দিতে হয় মিত্র শক্তিকে। এ যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১২৭ জন সেনা নিহত হন।

ফলে ৫ ডিসেম্বর থেকে আক্রমন আরো তীব্র হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ভেঙে পড়তে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যৌথ হামলা প্রতিরোধ করতে তারা ব্যর্থ হতে থাকে। এ অঞ্চলের পরাজিত পাক সেনারা তখন সিলেট অভিমুখে পালাতে শুরু করে। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেক সাধারণ মানুষ নিহত ও জখম হন।

সিলেটে যাওয়ার পথে তারা শেরপুরে অবস্থান নেয়। পরে অবস্থান নিরাপদ নয় মনে করে সিলেট চলে যায়। ঘাতক বাহিনী পিছু হটার ফলে ৮ ডিসেম্বর পুরো মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয় এবং আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।

মৌলভীবাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১৪শ ৭০ জন। এরমধ্যে সংগঠক ছিলেন দুশ’র বেশি।

মৌলভীবাজারে দিনটি স্মরণে দিনভর নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সকালে মৌলভীবাজারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বিজয় র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুক্ত দিবস পালন করছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি।

দিবসের অনুষ্ঠান মালায় অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডার জামাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আজমল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাধাপদ দেব সজল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক তরফদার, ভিপি সোয়েবসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।



মৌলভীবাজার/ সাইফুল্লাহ হাসান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়