জামালপুরে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
সাংবাদিক শেলু আকন্দকে নৃশংসভাবে মেরে দুই পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর রুনু খানসহ সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
শনিবার দুপুরে শহরের দয়াময়ী মোড়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি ও চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নূরুল হক জঙ্গী, দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক সুশান্ত কুমার দেব কানু, বিটিভির সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল, বাংলার চিঠির সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজু।
আরও বক্তব্য দিয়েছেন সময় টিভির সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সাংবাদিক শওকত জামান, আলোচিত জামালপুরের নির্বাহী সম্পাদক কবি সাযযাদ আনসারী, কবি জাকারিয়া জাহাঙ্গীর, ইসলামপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাবুল, সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম রুকন, আবু সায়েম, নিপুণ জাকারিয়া, শিলা আহমেদ, মাসুদুর রহমান চৌধুরী ও শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন আকন্দ।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন বাংলার সাংবাদিক লুৎফর রহামনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ৬ আসামিসহ সহযোগীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে ২৮ মে দুপুরে পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রাকিব খান কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুকে মারধর করেছিলেন। মারধরের ঘটনায় হওয়া মামলায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ। এর জের ধরে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় দেওয়ানপাড়া এলাকায় শহররক্ষা বাঁধের বাইপাস সড়কে পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের নির্দেশে শেলু আকন্দকে দেশীয় অস্ত্র ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন রাকিব খান ও সহযোগীরা।
এ ঘটনায় শেলু আকন্দের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর দুপুরে অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামি করে জামালপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাকিব খানকে ওই দিন রাতে গ্রেপ্তার করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে বাকি আসামিরা।
বক্তারা আরও বলেন, পৌর কাউন্সিলর রুনু খান পেশায় ছিলেন একজন কসাই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কিশোরগঞ্জের পৈত্রিক নিবাস থেকে তাদের বিতাড়িত করেছিলেন এলাকাবাসী। জামালপুরে এসে তিনি কীভাবে জেলা আওয়ামী লীগে জায়গা করে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন, তা অনুসন্ধান করলেই প্রকৃত চিত্র বের হয়ে আসবে।
রুনু খানকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও রাকিব খানকে জেলা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। এছাড়া রুনু খানের সন্ত্রাসীদের হাতে জামালপুরের বিভিন্ন জমি দখলের ঘটনা দুদককে তদন্তের দাবি জানানো হয়। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।
জামালপুর/সেলিম আব্বাস/মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন