ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পিচঢালা সড়কে বাঁশের সাঁকো

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিচঢালা সড়কে বাঁশের সাঁকো

পিচঢালা ব্যস্ত সড়কের পাশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চওড়া ড্রেন পাড়ি দিচ্ছেন নগরবাসী। সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে সাইকেল, এমনকি মটর সাইকেলও। সাঁকোর অবস্থা অনেকটাই নড়েবড়ে; যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে শিশু এবং বয়স্কদের। আশঙ্কা যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

সিলেট নগরীর ব্যস্ততম পূর্ব জিন্দাবাজার-নাইওরপুল সড়কের দুটি অংশে এভাবেই সাঁকো দিয়ে পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। কারণ এ দুটি স্থানে নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন বক্স কালভার্ট।

বিনা নোটিশে আকস্মিকভাবে পুরনো কালভার্ট দুটি ভেঙে ফেলায় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকটা ঘুরে নগরীর মানুষকে এই পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কালভার্ট ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা। অনেকেই বলছেন, এর আগে গত বছর রমজান মাসে জিন্দাবাজার পয়েন্ট বন্দর বাজার সড়কের একটি কালভার্ট নির্মাণেও এমন ভোগান্তি হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে বক্স কালভার্ট দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।’

গত শনিবার দিবাগত রাতে উল্লেখিত স্থানে বক্স কালভার্ট ভাঙার কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। সকালে নাইওরপুল পয়েন্টের অদূরে আরেকটি কালভার্ট ভাঙা হয়। ফলে বাণিজ্যিক এলাকা জিন্দাবাজারের সাথে এ সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহনের চাপ তৈরি হয় অন্য সড়কগুলোতে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর। ভোগান্তি কমাতে পথচারীদের পারাপারের জন্য সড়কের উভয়পাশে বাঁশ ফেলে সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সাঁকো অনেকটাই নড়বড়ে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আছে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা। এর মাঝেই ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পাড়ি দিচ্ছেন পথচারী। এসময় কথা হয় ইমরান আহমদের সঙ্গে। স্থানীয় এই প্রবীন বলেন, ‘নগরের ব্যস্ততম এ সড়কে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে ভালো কথা। এজন্য বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন ছিল। অথবা একসাথে পুরো কালভার্ট না ভেঙে অর্ধেক করে ভাঙা যেত। তাহলে এই ভোগান্তি হতো না।’

কলেজ ছাত্র শাফায়াত আমিন বললেন, ‘এর আগেও নগরে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে করা হয়নি। কিছুদিন আগে মিরাবাজারে সিলেট-তামাবিল সড়কে বড় একটি বক্সকালভার্ট ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে অর্ধেক ভেঙে তারপর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এই কালভার্ট দুটি ছোট। তারপরও কেন একসঙ্গে পুরো কালভার্ট ভাঙা হলো বুঝতে পারছি না।’

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘সড়ক প্রশস্ত করার জন্য কালভার্ট দুটি ভাঙা হয়েছে। প্রকৌশলীদের পরামর্শ ক্রমে পুরো কালভার্ট ভাঙতে হয়েছে। কারণ অর্ধেক করে কাজ করলে কালভার্ট টেকসই হবে না। তবে ওয়ার্ক অর্ডারে ছয়মাসের সময় থাকলেও ঠিকাদারদের এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।’

 

সিলেট/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়