ইভিএম নয় ইএফএম : রেজা কিবরিয়া
ইভিএমকে ইএফএম বা ইলেক্ট্রনিক ফ্রড মেশিন আখ্যা দিয়ে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, অনেক দেশে এইসব মেশিন বাদ হলেও ভোট চুরির জন্য এটি ব্যবহার করতে যাচ্ছে সরকার।
শনিবার সকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
গণফোরাম চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সেলিম আকবরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এ নেতা।
রেজা কিবারিয়া ইভিএম নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরে বলেন, ‘ইভিএমকে আমি বলি ইএফএম, এটা ইলেক্ট্রনিক ফ্রড মেশিন। বিশ্বের ৩১ দেশ পরীক্ষা করে বাদ দিয়েছে। মাত্র চারটি দেশ এটিকে গ্রহণ করেছে। ঢাকা সিটির নির্বাচনে ইভিএম দিয়ে ভোট চুরির নতুন উপায় বের করেছে। জনগণের দাবী এ সরকার মানছে না।’
কেন্দ্রীয় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘সেদিন বেশি দূরে নয়, যে সময়ে গণফোরাম দেশের নেতৃত্বে দেবে। আমার বাবা যে আওয়ামী করতেন, সে দল সারাদেশের মানুষের কাছে ভোট চোর হিসেবে চিহ্নিত। তারা আজ ভোট ও ভোটারদের সবচেয়ে বেশি ভয় পায়। দেশে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলে কিন্তু তা পুরোটাই মিথ্যা।’
তিনি বলেন, “আমার বাবা থাকাকালীন আওয়ামী লীগ ও বর্তমান আওয়ামী লীগে অনেক তফাৎ রয়েছে। আজ ১৫টি বছর হতে চললো আমার বাবার হত্যার একটি সুষ্ঠ তদন্ত এখনো আমাদের পরিবার দেখতে পারেনি। আমার মনে হয়, উন্নয়নটা হয় ঢাকাকেন্দ্রীক। আজ দেশে ধর্ষণ, গুম, হত্যা কালচার হয়ে গেছে।
‘দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। অর্থনৈতিক ধসের জন্য এ সরকারের পতন ঘটবে। এর ফল সরকার ভোগ করবে, দেশের মানুষের অনেক কষ্ট হবে। আওয়ামী লীগ ভাবে, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না হবে, ভোট ছাড়া নির্বাচন হবে। বিএনপি আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা ঐক্যফ্রন্ট করছি। বেগম জিয়াকে সুষ্ঠ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। উনার মেডিক্যাল রিপোর্টে ধুম্রজাল রয়েছে। উনি তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। উনি আমাদের দলের কেউ না, তবু উনার প্রতি এ অবমাননার প্রতিবাদ করতে হবে।”
কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে জাতির বিবেক হিসেবে ড. কামাল হোসেনকে দেখা হচ্ছে। উনি ৮২ বছর বিষয়ে দেশের মানুষের জন্য এখনো কিছু করেতে চান। আপনারা সংগঠনিক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে করবেন। আপনাদের শক্তিশালী নেতৃত্বে দেশকে ভাল অবস্থায় নিতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গনফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান এমপি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাত লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করা হয়েছে। সংসদে বলেছিলাম, দুর্নীতি দমন করতে হলে শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইবুনাল তৈরি করে বিচার শুরু করেন। দেশের শীর্ষ ১২জনকে দমন করতে পারলে দুর্নীতি ৫০ ভাগ কমে যাবে। জাতির জনক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তার হাতে গড়া দল দুর্নীতি দমনে তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রত্যেকটি অঞ্চলে গণফোরামকে সংগঠিত করবই আমরা।’
গনফোরাম চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আজাদ হোসেন বক্তব্য দেন।
চাঁদপুর/দেলোয়ার হোসেন/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন