এখনো ভয়ে আঁতকে ওঠেন তিনি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ক্র্যাচে ভর করেই তার চলাফেরা। গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্লিন্টার দেহে নিয়ে বেঁচে আছেন আব্দুল্লাহ সরদার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তিনিও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ সরদার নিজে যেমন পঙ্গু হয়েছেন, তেমনি পঙ্গু করে রেখেছেন তার পুরো পরিবারকে। সেই সাথে অকালে তার বাবাও মারা যান। তার বাম হাত ও বাম পা এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। ২৭ জানুয়ারির ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে তিনি এখনো আঁতকে ওঠেন।
সেই সময় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এজন্য তিনি নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
২৫দিন বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। গ্রেনেড হামলার ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেননি। দু’কদম হাঁটতে গেলেও তার ভরসা ক্র্যাচ।
সেই সময় দুর্ঘটনার রাতে ছেলের ‘দুঃ সংবাদ’ শুনে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলেন তার পিতা। একপর্যায়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, ‘আমি বাবার লাশ কাঁধে বহন করে কবরস্থানে নিতে পারিনি। একজন মানুষের জীবনে এর চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে।’
গ্রেনেড হামলার সময় তিনি শাহ এ এম এস কিবরিয়ার পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্রেনেড। গ্রেনেডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেহে অসংখ্য স্প্লিন্টার আর পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন। তিনি ২৭ জানুয়ারির ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামুন চৌধুরী/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন