তিন স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে ২ আসামির স্বীকারোক্তি
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় বনে বেড়াতে যাওয়া চার স্কুলছাত্রীর তিনজনকে ধর্ষণ ও একজনের শ্লীলতাহানির ঘটনায় দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথকভাবে জবানবন্দি দেন।
একই দিনে ওই চার ছাত্রী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন মাহবুব ও ফারজানা হাসনাতের কাছে নিজেদের বক্তব্য দেন। টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে সোমবার দিবাগত রাতে ঘাটাইল উপজেলার সাতকুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ঘাটাইল উপজেলার মানাঝি টানপাড়া গ্রামের আনছার আলী খানের ছেলে ইউসুফ আলী খান (২৭), সন্ধানপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (২১) ও একই গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে সবুজ ওরফে বাবু (৩০)।
পিপি এস আকবর খান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের কাছে বাবুল হোসেন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের কাছে ইউসুফ আলী খান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি টিম কাজ করছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার তানভীর হাসান রাইজিংবিডিকে জানান, তিন কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের শারীরিক অবস্থা শঙ্কটাপন্ন না হলেও তারা মানষিকভাবে বিপর্যস্ত।
একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তাদের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রোববার ঘাটাইল উপজেলার এস ই পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রী দুই ছেলে বন্ধুকে নিয়ে ঝরকা বনে বেড়াতে যায়। সেখানে ৮-১০ জন যুবক ছেলে বন্ধুদের মেরে তাড়িয়ে দিয়ে তিন ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়।
এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোমবার ঘাটাইল থানায় অপহরণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
সিফাত/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন