মেয়েকে হত্যার পর অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যা
যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর গ্রামে স্বর্ণের চেইন চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে গলাটিপে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে হেফাজতে নিয়েছে।
রোববার সকালে হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই গৃহবধূর নাম জুলেখা। তিনি লক্ষ্মণপুর গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী ছিলেন।
নিহতের স্বামী বলেন, স্বর্ণের চেইনটা জুলেখার মা দিয়েছিল। আর এ নিয়ে এমন অপবাদ সহ্য করতে পারেননি তিনি। আল আমিন এর বিচার দাবি করেন।
জুলেখার ননদ সীমা খাতুন জানান, ছয় মাস আগে প্রতিবেশি আলাউদ্দীনের বাড়ি থেকে একটি স্বর্ণের চেইন চুরি হয়। গত শনিবার দুপুরে জুলেখা পাশের দোকানে কেনাকাটা করতে যায়। এ সময় জুলেখার গলা থেকে জোর করে চেইন খুলে নেয় আলাউদ্দীনের মেয়ে জুলি এবং চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে আটকে রেখে মারধর করে। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে আজ সকালে চার বছরের মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করার পর ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ জুলেখা।
নিহতের স্বজনেরা বলেন, নিহত জুলেখা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, আলাউদ্দীনের স্ত্রী রেশমা বেগম ও মেয়ে জুলি খাতুনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রিটন/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন