ভাতিজার রক্ত সইতে পারলেন না ফুফু, অতঃপর...
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নবম শ্রেণির কিছু শিক্ষার্থী সাব্বির ও আকাশের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
সেটার কারণ জানতে শিক্ষার্থী সাব্বিরের চাচা সাগরকে রড দিয়ে আঘাত করে আহত করে আকাশ। এদিকে সাগরের রক্তাক্ত শরীর দেখে সইতে না পেরে স্ট্রোক করে মারা গেলেন তার ফুফু সুফিয়া খাতুন (৫০)।
বুধবারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আড়িয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুফিয়া খাতুন লক্ষীপুরের রবজান মণ্ডলের মেয়ে।
এদিকে আহত সাগর লক্ষীপুরের আনারুল ইসলামের ছেলে এবং পাহাড়পুর লক্ষীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বর্তমানে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির বলে, ‘মঙ্গলবার আমলা বাজারে আমার সহপাঠী আকাশ ও জিহাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। ওরা আমার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। সেই সঙ্গে গালিগালাজ করে। আমি বিষয়টি আমার চাচা সাগরকে বলি। বুধবারে চাচা আমাকে নিয়ে বিলআমলা রাস্তার ধারে গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে আকাশ ও জিহাদের সঙ্গে থাকা ৮/১০জন মিলে আমাকে ও চাচা সাগরকে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে ব্যাগে থাকা রড দিয়ে সাগরের মাথায় আঘাত করে আকাশ। এসময় সাগরের মাথা ফেটে প্রচুর রক্ত বের হয়। তারপর ওরা পালিয়ে যায়।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য খাজা মঈনউদ্দিন জানান, সাগরের রক্তাক্ত শরীর দেখে সাগরের ফুফু সুফিয়া খাতুন স্ট্রোক করে মারা গেছেন। সাগরকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানান, ‘বিষয়টি শুনেছি। আহত ঐ শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কাঞ্চন/বুলাকী
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন
