খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়িতে আটকে রেখে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এবং সহযোগিতার দায়ে ওই বাড়ির বাসিন্দা ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, অসচ্ছল কৃষকের মেয়েকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
সোমবার দুপুর ২টায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করীম শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ওই ছাত্রীর সম্পর্কে চাচা এবং সদর উপজেলার লাহিনীপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে স্বাধীন (৪৫), সহযোগিতার দায়ে অভিযুক্ত কুষ্টিয়া শহরের পূর্ব থানাপাড়ার কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নরুল ইসলাম (৫৫) এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৪৫)।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের দণ্ডবিধি ৯(১)/৩০ ধারায় অভিযোগ এনে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়ি থেকে অন্য দিনের মতো যথারীতি স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিচিত সম্পর্কে চাচা স্বাধীন ওই ছাত্রীকে খাতা-কলম কিনে দেয়ার কথা বলে শহরের পূর্ব থানাপাড়ার কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ সড়কের ডিম বিক্রেতা নরুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রবেশ করার পর দরজার বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়। এসময় স্বাধীন ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ সহযোগিতার অভিযোগ এনে ওই বাড়ির বাসিন্দা নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী বেদেনা খাতুনকেও অভিযুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল চেকআপ সম্পন্ন হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকালে শহরের একটি বাড়িতে স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে একই দিন সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী। সোমবার সকালে স্বাধীন, নুরুল ইসলাম ও বেদেনা ইসলাম নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
কুষ্টিয়া/কাঞ্চন কুমার/মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন