বন্ধ হলো মুনিয়া’র বিয়ে

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলমের তৎপরতায় বন্ধ হলো পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনিয়ার (১১) বিয়ে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার নোয়াখোলা ইউনিয়নের সাধুরখিল গ্রামের সর্দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

চাটখিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা কুলসুম মনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর ফর্দ হওয়ার কথা ছিল। এজন্য কনের নানী তাকে লক্ষ্মীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান।

বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপরতায় ওই শিক্ষার্থীর মাদ্রাসা থেকে অন্তত ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী বাল্য বিয়ে বিরোধী স্লোগান দিয়ে কনে পক্ষের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) একাধিক কর্মকর্তা ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে উপস্থিত হন।

মুনিয়ার অভিভাবকদের বুঝিয়ে তাকে লক্ষ্মীপুর থেকে আবার ফিরিয়ে আনা হয়। সেসময় ফর্দের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। পরে মেয়েটির বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয় বলে জানান মাহমুদা কুলসুম মনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাধুছি সর্দার বাড়ির হেনজু মিয়ার মেয়ে মুনিয়া। সে স্থানীয় সাধুছি এআই দাখিল মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় মুনিয়া শিশুকাল থেকেই নানা লিয়াকত আলী ও নানী রশিদা খাতুনের কাছে থাকে।

সম্প্রতি নানী রশিদা খাতুন এক শ্রমিকের সাথে মুনিয়ার বিয়ে ঠিক করে। মুনিয়া এই বিয়েতে রাজি ছিল না। ঘটনাটি মাদ্রাসার সুপারকে জানায় মুনিয়া। বিষয়টি জটিল হতে দেখে তার নানী লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার হাজি পাড়ায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে মুনিয়ার বিয়ের ব‌্যবস্থা করেন।


মাওলা সুজন/সনি