ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

আত্মসমর্পণ করলো ১৭ মাদক ব্যবসায়ী

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আত্মসমর্পণ করলো ১৭ মাদক ব্যবসায়ী

জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও মাদককে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, মাদককে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি যে কারণে সারা দেশে এখন মাদকসেবী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ।

বুধবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা আয়োজিত মাদকের অন্ধকার জীবন থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা নিয়ে ‘এসো আলোর পথে’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে ও সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) পরিমল দের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফজলুল আলী, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সামছুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মো. জামাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সালেহ এলাহী কুটি, কনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান চৌধুরী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, একাটুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু সুফিয়ান, মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট পার্থ সারথী পাল, কনকপুর ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম প্রমুখ।

কামরুল আহসান আরো বলেন, দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মাদক যেমন সমস্য তেমনি ব্যাক্তি জীবন ও সমাজের জন্য প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘একটি গ্রাম থেকে একটি দেশ, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে ধারণ করে জেলাব্যাপী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গেল কয়েক মাস সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে আসছে জেলা পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সারা জেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণার কার্যক্রম শুরু করবে জেলা পুলিশ।

তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে মাদকের পিছনে দেশে বছরে ৪৮ হাজার ৬ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। যা দিয়ে আমরা বছরে দেড়টা পদ্মা সেতু তৈরী করতে পারতাম। দেশে প্রায় ৭০ লাখ মাদকসেবী রয়েছেন। যা বিশ্বের অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি।

অনুষ্ঠানে পুলিশের কাছে ১৭ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পন করে। সামাজিক মান মর্যদার কথা বিবেচনা করে এ ১৭ জন মাদক সেবীকে জনসম্মুখে হাজির করা হয়নি।

পরে মো. কামরুল আহসান মাদকের বিষাদময় জীবন থেকে আলোর পথে আশায় তাদেরকে অভিনন্দন জানান।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় আগস্ট ২০১৯ হতে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মাদক মামলা হয়েছে ২৭৯টি, গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩৫০ জন, ইয়াবা ১৩ হাজার ৩৮৯ পিছ, চোলাই মদ দুই হাজার ৭৩০ লিটার ৯শ গ্রাম, গাঁজা ২৬ কেজি, বিদেশি মদ ৮২ বোতল, ফেনসিডিল একশ ২২ বোতল, হিরোইন দশমিক শূন্য নয় গ্রাম উদ্ধার করা হয়।


সাইফুল্লাহ/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়