এমপির আত্মহত্যার হুমকি

অবজ্ঞার অভিযোগ এনে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন উলিপুরের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন তালুকদার। জাতীয় দিবসে দলীয় ও দলের কর্মসূচিতে তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় তিনি এ হুমকি দেন।

শুক্রবার রাতে তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ১৯৯১ সালে নির্বাচিত এ সংসদ সদস‌্য বলেন, ‘আমি একজন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, দলের জেলা কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলী এবং উপজেলা কমিটির সদস্য। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমি এ অঞ্চলের সংগঠক এবং মুজিবনগর সরকারের পলিটিক্যাল সুপারভাইজার ছিলাম। কিন্ত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও আমাকে এবং  স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিয়ত অবমূল্যয়ন করা হচ্ছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে কিছু আওয়ামী লীগ নেতার কারণে স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে বাদ দিয়ে, বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতার বিপক্ষের লোকজনকে সরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘২৭ বছর উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থেকে ত্যাগী নেতাকর্মিদের নিয়ে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সেই দুঃসময়ের নেতাদেরকেও আমার মত কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। ১৯৯১ সালে রংপুর অঞ্চলে নৌকার প্রার্থী হিসেবে একমাত্র আমিই বিজয়ী হয়েছিলাম। এখন আমাকে যেভাবে অবজ্ঞা করা হচ্ছে, তাতে আত্মহত‌্যার সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাবেক এমপি বলেন, ‘চিঠি না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, উপরের নির্দেশে চিঠি দেয়া হয় না।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মতি শিউলি, সিনিয়র সহ-সভাপতি সোলায়মান সরদার বাদশা প্রমুখ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট যারা, শুধু তাদেরকেই চিঠি দেয়া হয়। তবে এসব জাতীয় অনুষ্ঠানে সকলের আসা উচিৎ।

এ ব্যাপরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, সাবেক এমপি নিজেই আওয়ামী লীগ বিরোধী, বার বার উনার ছেলেকে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে এখানে নৌকার ভীত নড়বড়ে করেছেন।


কুড়িগ্রাম/বাদশাহ্ সৈকত/সাজেদ