নড়াইলে বদর চেয়ারম্যান হত্যায় স্বীকারোক্তি
নড়াইল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
নড়াইলের লোহাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা বদর খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন এক আসামি।
মতিউর রহমান মুন্না (৩২) নামের এ আসামি জবানবন্দীতে বদর খন্দকার হত্যায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মিলটন কুমার দেবদাস। বুধবার সন্ধ্যায় নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় মুন্না এই জবানবন্দী দেন।
আসামি মুন্নাকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চরঘোনাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে বুধবার বিকেলে লোহাগড়া থানা এলাকা থেকে চরকালনার রুহুল ওরফে ফরিদকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রুহুল এজাহারনামীয় আসামি না হলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে লোহাগড়া-নড়াইল সড়কের টি-চরকালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বদরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সন্ত্রাসীরা। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
এ হত্যায় লোহাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও লোহাগড়া উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদারকে (৪৫) প্রধান আসামি করে ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজমিন বেগম।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নজরুল শিকদারের বড় ভাই ইবাদত শিকদার (৫০), ভাইপো জাকারিয়া শিকদার ওরফে গফফার (২৭), ভাগ্নে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজন (৩৫), চাচাতো ভাই এনায়েত শিকদার (৩৫), সুজন মোল্যা (২৮), তিন ভাই ফরিদ শেখ (৫০), নজরুল শেখ (৪৫) ও পিকুল শেখ (৩৮), ফরিদ শেখের ছেলে রোমান শেখ (২৬), আকবর খন্দকার (৪৫), লাবু (৩৫), দুই ভাই মতিউর রহমান মুন্না মোল্যা (৩২) ও তারু মোল্যা (৩৬), সুরুজ মোল্যা (৪০) এবং বাদশা শেখ (৪৫)।
ঘটনার দিন বদর খন্দকার চরকালনা এলাকায় নিজের ইটভাটা থেকে মটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বদরের কাছে ইট বিক্রির সাড়ে ৪ লাখ টাকা থাকলেও আসামি আকবর খন্দকার ওই টাকা নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বদর খন্দকারের স্ত্রী নাজমিন বেগম বলেন, আমার স্বামীকে এর আগে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন আসামিদের কয়েকজন। এ ব্যাপারে আমার স্বামী লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিলটন কুমার দেবদাস বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফরহাদ খান/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন