মাল্টা চাষী সাইদুলের চোখে স্বপ্ন
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাইদুল হক অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে অন্য সবার মতো চাকরির পিছনে না ছুটে, আধুনিক কৃষির দিকে ঝুকে পড়েন। চাষ করেন থাই-পেয়ারা, মৎস্য খামার এবং মাল্টা বাগান।
কমলাবাড়ী ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে তাঁর নতুন মাল্টা বাগান। এ রকম ব্যতিক্রম উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সাইদুুল হক তার ১৩২ শতাংশ জমিতে যশোর থেকে ২০০টি মাল্টার চারা এনে লাগিয়েছেন। এর মধ্যে ৫০টি চারা মারা যায়। বাকি ১৫০ টি চারায় খুব ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি।সাথী ফসল হিসেবে এবার আলুর চাষ করেছেন। আলুর ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। এর আগে সাথী ফসল হিসেবে করেছিলেন আদা চাষ। সেখানেও তিনি ভাল লাভের মুখ দেখেন।
কেন তিনি এত বিশাল জমিতে ব্যতিক্রম উদ্দোগ নিলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ইউটিউবের ভিডিও দেখে দেখে তার এই সিদ্ধান্তে আসা। গাছের পরিচর্যার বিষয়ে তিনি জানান, একজন স্থানীয় বড় ভাই তাকে ইটভাটার পোড়ামাটি দিতে বলেছেন, তিনি তাই করেছেন। তার বড় ভাইয়ের দাবি ছিল, পোড়ামাটি দিলে মাল্টা মিস্টি হবে।
এ মাল্টা চাষী অভিযোগ করেন, স্থানীয় কৃষি অফিসার আলিনুর রহমান তার বাগান পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু তিনি তাকে কোনপ্রকার পরামর্শ দিতে পারেননি। কোন সুযোগও পাচ্ছেন না কৃষি দপ্তর থেকে।
কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক বিধু ভুষণ রায় রাইজিংবিডিকে জানান, এমন মাল্টা বাগানের বিষয়ে তার জানা নেই।
তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে তথ্য নিয়ে বাগান পরিদর্শন করবেন। রাইজিংবিডির মাধ্যমে সাইদুল হক সাগরের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
লালমনিরহাট/ফারুক আলম/নাসিম
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন