ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শ্রেণিকক্ষ সংকটে সিঁড়ি ও বারান্দায় পাঠদান

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০৮, ৪ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শ্রেণিকক্ষ সংকটে সিঁড়ি ও বারান্দায় পাঠদান

শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে পাবনার চাটমোহরের জাবরকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব‌্যাহত হচ্ছে। মাত্র দু’টি কক্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান করাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এভাবেই পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা।

এতো সীমাবদ্ধতার মধ‌্যে ক্লাস করতে গিয়ে অনেকে শিক্ষার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নতন ভবনের জন‌্য‌ বার বার আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। স্কুল থেকে অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের আশপাশের অন‌্য স্কুলে নিয়ে ভর্তি করাচ্ছে।

সরেজিমনে স্কুলটিতে গিয়ে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন এ বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তিনকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করে। তবে কাজ নিম্নমানের হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে যায়। পরে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার ২০১১-১২ অর্থবছরে পাশেই তিনকক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে একটি কক্ষ অফিস হিসেবে, আর অবশিষ্ট দু’টি কক্ষে দুই শিফটে চলে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বারান্দায় ও সিঁড়িঘরে বসে পাঠদান করতে হয়।

এদিকে বারান্দায় বসে রোদের মধ্যে পড়ালেখা করতে গিয়ে অনেক শিশুই মাঝে-মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর বৃষ্টি এলে পানির ঝাপটায় বই-খাতা গুছিয়ে এক ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে ওই স্কুলটিতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


আবদুল হালিম, জয়নব বেগমসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় প্রতিবছর ওই স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। এছাড়া সীমানা প্রাচীর না থাকায় স্কুলের সামনে দিয়ে চলাচল করা চাটমোহর-মান্নাননগর সড়ক পার হতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে অনেক অভিভাবক মাঝে মধ্যেই সন্তানদের স্কুলেও পাঠান না।

বিদ‌্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিনা সুলতানা জানান, বহুদিন ধরে চলতে থাকা শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থী বিদ‌্যালয় ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। নতুন ভবনের চাহিদার কথা জানিয়ে শিক্ষা অফিসে একাধিথকবার আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। আর স্কুলের সামনে দিয়ে ব‌্যস্ততম সড়ক থাকায় ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনেক সীমাবদ্ধতার মধ‌্যে ক্লাস করতে হচ্ছে। এরআগে নতুন ভবনের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলেও কোনো বরাদ্দ আসেনি। তবে নতুন করে আবার চাহিদা পাঠানো হবে বলেও জানান ওই শিক্ষা কর্মকর্ত।

শাহীন/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়