ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

রাজশাহীতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ৯ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীতে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহী ও এর আশপাশের জেলার মানুষের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের জন্য অন্তত সাতটি সেবাকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মানুষ এখন জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে যাচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে রাজশাহীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর নেই। সন্দেহভাজন কারো নামও আসেনি।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এ নিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বৈঠক হয়েছে। সরাসরি চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সদের জন্যও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা।

রাজশাহীর পাশে থাকা জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে হ্যান্ডথার্মাল ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য অন্তত ৩৫০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগী বেশি হলে স্কুল বা ফাঁকা কোনো জায়গা প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনাভাইরাস রোগী পেলে সংক্রমণ ব্যাধি (আইডি) হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল, ডেন্টাল ইউনিট, পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সহ অন্তত সাতটি সেবাকেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে অতিরিক্ত চিকিৎসক ও নার্স। তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের সভা হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়- বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ২৫০ থেকে ৩০০ এবং জেলা পর্যায়ে কমপক্ষে ১০০ শয্যা প্রস্তুত রাখার। সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যদি সংক্রমিত হয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে, তবে কোনো ফাঁকা স্থানে স্কুল বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে সেবাকেন্দ্র বানিয়ে নেওয়া হবে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, করোনাভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। যারা বিদেশ থেকে আসছেন, তাদের অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। সরাসরি তিনি যেন পরিবারের সঙ্গে না মেশেন, সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিদেশ থেকে যারা আসবেন, তাদের পরীক্ষা করা হবে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, যদি ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হয়, তবে নির্ধারণ করে রাখা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পে রোগী রাখা হবে। উপজেলা থেকে মহানগর পর্যন্ত এই ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।


রাজশাহী/তানজিমুল হক/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়