চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে ‘আমের গুটি’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আম গাছে মুকুল থেকে ‘গুটি’ আসতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ‘আমের গুটি’ দেখে ভালো ফলনের আশা করছেন ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯৮ ভাগ গাছে মুকুল আসে। মুকুল থেকে বের হওয়া গুটি টিকিয়ে রাখতে পরিচর্যা করছেন চাষিরা। এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় আমের জন্য ভালো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বৃষ্টি আমের ফলনের জন্য উপকারী। গাছের গোড়ায় টানা পানি ঢেলেও যে লাভ না হতো, তার চেয়েও বেশি লাভ হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ফলন ভালো হবে।
মাঝে-মধ্যে হওয়া বৃষ্টিতে ফলন ভালো হয় বলে জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা।
তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে আমের গাছের পাতা থেকে ধূলা-ময়লা ধুয়ে গেছে। এতে পাতার মাধ্যমে মুকুলগুলো বেশি পরিমাণে সূর্যালোক থেকে খাদ্যগ্রহণ করছে। এতে গুটির ঝরেপড়া যেমন রোধ হবে, তেমনি আকারও বড় হবে। তাছাড়া বৃষ্টির পর দিন পর্যাপ্ত রোদ হওয়ায় মুকুলে কীটপতঙ্গ মারা যাবে।
কৃষি বিভাগ ও আম চাষিরা বলছেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ভালো ফলন হবে। মুকুল আসার আগে থেকে গাছের পরিচর্যা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কীটনাশকও প্রয়োগ করছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাণিজ্যিকভিত্তিতে প্রায় সব জাতের আমের উৎপাদন হয়। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর আমের আবাদ বাড়ছে। ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলি, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাগান গড়ে উঠেছে। এখানকার আম দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। একটা অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন জানান, আম বাগান পরিচর্যা বিষয়ক লিফলেট চাষিদের দেওয়া হয়েছে। মুকুল থেকে আম পাড়া পর্যন্ত নির্দেশনা লিফলেটে রয়েছে।
কেমিকেলমুক্ত আম উৎপাদনে প্রতি বছরের মতো এবারও চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মিমপা/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন