মৌলভীবাজারে চাহিদা ৫ হাজার, পৌঁছেছে ১০০ পিপিই
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
মৌলভীবাজারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নিরাপত্তামূলক পোশাক প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজারের চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও মিলেছে মাত্র ১০০টি পিপিই।
এই ১০০ পিপিইও নিম্নমানের বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা।
সোমবারে (২৩ মার্চ) রাতে এই ১০০ পিপিই সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) তা বিতরণ করা হয় জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের মধ্যে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন তওহীদ আহমদ।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস থেকে ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা দিতে পাঁচ হাজার পিপিইর চাহিদাপত্র দেয়া হয় কিন্তু এসেছে মাত্র ১০০ পিপিই।
এই ১০০ পিপিইর মধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের ২০টি, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৫টি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, জেলা সদরে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ৫টি এবং জেলায় বাকি ছয়টি উপজেলায় ১০টি করে পিপিই দেয়া হয়েছে।
তবে, এই ১০০ পিপিই শুধু ডাক্তারদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। করোনা রোগীসহ অন্যদের সার্বক্ষণিক দেখভালের দায়িত্বে থাকা হাসপাতালের নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়সহ টেকনিশিয়ানরা এখনো কোনো নিরাপত্তা পোশাক পাননি। ফলে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী নিরাপত্তামূলক পোশাকের অভাবে ঝুঁকিতে রয়েছেন মৌলভীবাজারের নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।
সিভিল সার্জন তওহীদ আহমদ জানান, মৌলভীবাজারে পিপিই কতগুলো লাগবে তা নির্ভর করছে রোগীর চাপ কেমন হবে তার ওপর। প্রাথমিকভাবে পাঁচ হাজার পিপিইর চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের তুলনার খুবই নগণ্য।
পিপিইর মানের বিষয়ে হাসপাতালের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের যা আছে তা নিয়েই লড়তে হবে। যা পেয়েছি তা দিয়েই রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সাইফুল্লাহ/বুলাকী
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন