ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

একজনের মৃত্যুর পর আতঙ্কে খুমেক হাসপাতাল ফাঁকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ২৮ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
একজনের মৃত্যুর পর আতঙ্কে খুমেক হাসপাতাল ফাঁকা!

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে একজনের মৃত্যুর পর ফাঁকা হয়ে গেছে ওই হাসপাতাল। করোনা সন্দেহে আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।

আর সম্পূর্ণ হাসপাতালটিকে করোনা ইউনিট করার ঘোষণা দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এখন কোন নতুন রোগী ভর্তি করছেন না।

সূত্র মতে, ৫শ’ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগে স্বাভাবিকভাবেই রোগী ভর্তির সংখ্যা উপচে পড়া । সেখানে ২৫ মার্চ ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮০ জন। আর ২৬ মার্চ একজন রোগীর মৃত্যুর পর করোনা সন্দেহে ২৭ মার্চ থেকে পুরো হাসপাতালই রোগী শূন্য হয়ে গেছে। রোগীরা স্বেচ্ছায় হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।

এদিকে, খুলনা জেনারেল হাসপাতালেও রোগী ভর্তি কমে গেছে। খুলনার উপজেলাগুলোতেও সাধারণ রোগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার ৩০ ভাগে নেমে এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন রোগী মোস্তফা কামাল পাশা (৭০)। তার স্ত্রী পারুল বেগম জানান, সোমবার এখানে তার স্বামীকে ভর্তি করানো হয়েছে। স্ট্রোক করার পর তাকে পিরোজপুর থেকে এখানে আনা হয়। তিনদিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি। এখানে একজনের মৃত্যুর পর আতঙ্ক দেখা দেয়। এ কারণে তারাও হাসপাতাল ছেড়েছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সিনিয়র স্টাফ নার্স রমা রানী দাশ বলেন, ‘করোনার প্রভাবে এখানে রোগী কমতে কমতে ২৫ মার্চ দুপুরে ১০ জন ছিল। ২৬ মার্চ রাতে সকলেই নিজ দায়িত্বে চলে যেতে চায়। তখন তাদেরকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে দেয়া হয়। ২৭ মার্চ থেকে হাসপাতাল রোগী শূন্য রয়েছে।'

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘এখানে করোনার প্রভাবে দিনকে দিন ভর্তি রোগী কমে আসতে থাকে। ২৬ মার্চ এক রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তার নার্সসহ ১৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এরপর হাসপাতাল রোগী শূন্য হয়ে যায়। আর এ হাসপাতালটিকে করোনা ওয়ার্ড করার পরিকল্পনা নেয়ার কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি করা  হচ্ছে না।'

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘খুলনার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রোগী ভর্তির হার ৩০ ভাগে নেমে এসেছে। এখন করোনার প্রভাবের কারণে অন্যান্য রোগী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন না। খুলনা জেনারেল হাসপাতালের ২৫০টি বেডের ৭০ ভাগ বেডই এখন খালি থাকছে। উপজেলা পর্যায়ে এখন সকল হাসপাতালই ৫০ বেডের। কিন্তু সেখানেও সিট খালি থাকছে।তবে, ফোনে পরামর্শ গ্রহণের হার বেড়েছে। জেলা ও উপজেলার জন্য ১০ চিকিৎসক ও টিম এজন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।'

তিনি বলেন, ‘খুলনা জেনারেল হাসপাতালটিকে করোনা কোয়ারেন্টিন ইউনিট করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে এখানে নতুন রোগীও ভর্তি করা হচ্ছে না।'



খুলনা/নূরুজ্জামান/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়