ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অর্ধেক শাটারে দোকান খোলা!

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৩১ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অর্ধেক শাটারে দোকান খোলা!

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সীমিত আকারে মুদি দোকান ও ঔষধের দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। তবে ছুটির চতুর্থ দিনেই দেখা গেছে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকানের অর্ধেক শাটার খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ট্রাকে করে যাত্রী পরিবহণ ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে প্রায় সব ধরণের গাড়িই চলাচল করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই বাজার, বাইপাইলসহ এসব এলাকার বিভিন্ন আঞ্চলিক বাজারগুলোতে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। সোমবার ও মঙ্গলবারে বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত হাট বসারও খবর পাওয়া গেছে।

করোনা সংক্রমণ রোধে বাইরে বের হওয়া ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা উচিত নয় মনে করলেও টানা ঘরবন্দী থেকে আর ভালো লাগছে না বলে বাইরে বের হচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

ধামরাই বাজারে ঘুরতে আসা ইমরান নামে এক যুবক বলেন, করোনা রোধে বাইরে যাওয়া উচিত নয়। কিন্তু টানা ঘরে থেকে বিরক্ত লাগছে তাই বের হয়েছি।

সাভারের শিমুলতলায় ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে আড্ডারত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা প্রতিবেদক কেন বের হয়েছে সেই প্রশ্ন করেন।

তারা বলেন, ‘প্রথম দুই তিনদিন পুলিশ র‌্যাবের টানা টহলের কারণে কেউই বাইরে বের হয়নি অপ্রয়োজনে। তবে এখন সেটা অনেকটাই শিথিল। তাই একঘেয়েমি কাটাতে তারা বাইরে বের হয়েছেন।’

তবে এই সময়ে নিজেদের ও পরিবারের জন্যে হলেও বাইরে বের হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তারা।

কয়েকটি গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, ইট ভাটার জন্যে মাটি কাটা শ্রমিকসহ শ্রমজীবী অনেককেই কাজে যোগ দিতে। তারা বলেন, ‘কাজ না করলে আয় রোজগার বন্ধ থাকবে। তাই তারা বাইরে বের হয়েছেন।’

ধামরাইয়ের দিনমজুর আয়নাল মিয়া বলেন, ‘ভাইরাস কপালের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। যা হয় হবে, কিন্তু খেয়ে বাঁচতে হবে আগে। তাই তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। ’

এসময় ওইসব এলাকায় এখনও কোন সহায়তা পৌঁছায়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে প্রশাসনের যথাযথ অবস্থান না থাকায় হাট বাজারে মানুষের ঢল ছুটেছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা বলছেন, ‘ভাইরাসটি মারাত্মক। আর আমাদের দেশে তেমন চিকিৎসা সুবিধাও নেই। ফলে ভাইরাস ঢুকলে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই ঘরে থাকার বিকল্প নেই। যারা আইন মানবে না তাদের উপর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন শুরুতে যে তৎপরতা দেখিয়েছে তা এখন আর নেই। তাই মানুষ দলে দলে বাইরে বের হচ্ছে।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী নাইম ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের আরো মনিটরিং বাড়ানো প্রয়োজন। নাহলে এই অবস্থা রোধ করা যাবে না। বাজারগুলোতে মানুষের ঢল নামছে বিকেলের পর থেকেই। এসব এখনই বন্ধ করা প্রয়োজন।’

এবিষয়য়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এসকল বিষয়ে মনিটরিংয়ের জন্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমারাও বিষয়টি মনিটরিং করছি।’


সাব্বির/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়