সাংবাদিক নির্যাতনকারী সেই ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের নামে মামলা
ঝালকাঠি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ভোলার বোরহানউদ্দিনে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেলেদের জন্য বরাদ্দের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির সংবাদ করায় সাংবাদিককে মারধর করা সেই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যানের (ইউপি) ছেলের নামে মামলা হয়েছে।
এঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতেই নির্যাতিত সাংবাদিক সাগড় চৌধুরী ইউপি চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দারের ছেলে নাবিল হায়দারসহ অজ্ঞাত পাঁচজনকে আসামি করে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক।
এদিকে দুপুরে নাবিল হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ওইদিন সকালে সাংবাদিক সাগরকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে এই নির্যাতন করেন নাবিল হায়দার। এবং ভিডিও ধারণ করেন।
এ বিষয়ে ভোলার বোরহান উদ্দিন থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত নাবিল পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
সাংবাদিক সাগর চৌধুরী বলেন, ‘বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিমউদ্দিন হায়দার ইউনিয়নের জেলেদের একমণ করে চাল দেওয়ার কথা, কিন্তু চাল দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১৪-১৫ কেজি করে। বিষয়টা আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই এবং চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাই কেন চাল কম দিচ্ছেন? এরই জের ধরে তার ছেলে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র নাবিল হায়দার আমাকে মারধর করেন।’
সাগর চৌধুরী আরও বলেন, ‘এরপর নাবিল আমাকে ভিপি নুরের হত্যার হুমকির ভিডিও দেখিয়ে বলে, আমি ভিপি নুরকে গুনি না, আর তুমি তো কোথাকার সাংবাদিক? একথা বলতে বলতে আমাকে প্রচণ্ড রকম মারধর করেন এবং মোবাইল ছিনতাইকারী হিসেবে অপবাদ দেয়।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোরহানউদ্দিনের এক সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের বিরুদ্দে সংবাদ করায় সাগর চৌধুরীকে এই নির্যাতন করা হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের পর সাংবাদিক সাগর বোরহানউদ্দিন থানায় অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় জসিম হায়দারের লোকজন তাকে থানায় এবং বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে যেতে দেননি। পরবর্তীতে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। সেখানে তার চিকিৎসা করান। ’
এদিকে, সাগর চৌধুরীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠন। তারা এই ঘটনার হোতা নাবিলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।
উল্লেখ্য, নাবিল হায়দার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কিছুদিন আগে তিনি ডাকসু ভিপি নুরকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও তার সহযোদ্ধা শাকিলের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।
অলোক/বুলাকী
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন