কক্সবাজারে ১৫টি বাড়ি-দোকান লকডাউন

কক্সবাজারে শ্বশুরবাড়িতে বেড়িয়ে ঢাকায় ফিরে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) এক সদস্য করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। 

এর ফলে তার সংস্পর্শে আসা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার  সাতটি বাড়ি, সাতটি দোকান ও একটি ল্যাব মেডিকেল সেন্টার লকডাউন ঘোষণা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার রাতে টেকনাফ উপজেলা পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকার ছয়টি বাড়ি, সাতটি দোকান, একটি ল্যাব ও শাহপরীর দ্বীপে একটি বসতবাড়ি লকডাউন করা হয়।

এ তথ্য  নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ঢাকায় করোনা শনাক্ত র‌্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায় । গত ২০ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত তিনি টেকনাফের শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করেন।

র‍্যাব সদস্যের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বরাত দিয়ে ইউএনও বলেন, ঢাকা থেকে বেড়াতে আসেন জামাতা। তিনি পুলিশের সদস্য হলেও বর্তমানে পদায়ন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র‌্যাব)।  গত ২৬ মার্চ তিনি টেকনাফ থেকে ঢাকায় চলে যান।

‘‘সেখানে তিনি সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। এরপর তাকে পরীক্ষা করানো হয়। শুক্রবার রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে। এরপর তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।’’

বিষয়টি জানার পর শুক্রবার রাতেই টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হারেসের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বসতবাড়ি ও দোকান লকডাউন করে দেন।

এ প্রসঙ্গে ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে এবং বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সকলে সচেতন হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

রুবেল/বকুল